চট্টগ্রাম বন্দরের ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারে স্বস্তি

শতভাগ কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম শুরু

দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারে স্বস্তি ফিরে এসেছে। সম্প্রতি দেশজুড়ে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় এ সেন্টারে অচলাবস্থা তৈরি হওয়ায় পণ্য খালাসে স্থবিরতা দেখা দিয়েছিল।

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) দুপুর থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে বিশেষ পদ্ধতিতে সীমিত কার্যক্রম শুরুর পর বন্দরের ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারের কার্যক্রম সচল হয়।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সঙ্গে বন্দরের ওয়ান স্টপ সার্ভিসের সংযোগ স্থাপন হয়েছে।

এতে পণ্য খালাসের বাধা দূর হয়েছে। তবে অনেক শিপিং এজেন্টের অফিসে ইন্টারনেট সংযোগ চালু না হওয়ায় রপ্তানি চালানের যে মেইল পাঠানো কিংবা শিপিং এজেন্টের প্রিন্সিপালদের পাঠানো আইজিএম পেতে সমস্যা হচ্ছে। আশাকরি যত দ্রুত বাণিজ্যিক এলাকার ইন্টারনেট স্বাভাবিক হবে বন্দরের কার্যক্রম তত পরিপূর্ণতা পাবে।

তিনি জানান, বহির্নোঙরে পণ্য খালাস, বন্দরের মূল জেটিতে কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং, ডেলিভারি স্বাভাবিক রয়েছে।

বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন জানান, কাস্টমসের শুল্কায়ন কার্যক্রম অনলাইনভিত্তিক অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমনির্ভর। আমদানি ও রপ্তানিকারকরা তাদের অফিস বা বাসা থেকে অনলাইনে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে নথিপত্র জমা দেন। সরকার পরীক্ষামূলকভাবে বেশ কিছু খাতে ইন্টারনেট সেবা চালু করলেও অনেক এলাকায় ইন্টারনেট না থাকায় সংশ্লিষ্টরা জরুরি নথি সাবমিট করতে পারছেন না। আশাকরি ইন্টারনেট সেবা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

বাংলানিউজ সূত্রে জানা যায়, স্বাভাবিক সময়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে প্রতিদিন গড়ে ৫ হাজারের বেশি রপ্তানি চালান ও ১ হাজারের বেশি আমদানি চালানের শুল্কায়ন হয়। চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি পণ্যের ধারণক্ষমতা ৪২ হাজার ১২০ টিইইউস (২০ ফুট দীর্ঘ) কনটেইনার। এর বিপরীতে মঙ্গলবার কনটেইনার ছিল প্রায় ৪০ হাজার। সোমবার বহির্নোঙরে পণ্য খালাস হয়েছে ৭৯ হাজার ১১ টন, রোববার ১ লাখ ১৬ হাজার ৪৩৩ টন। ২২ জুলাই অন চেসিস কনটেইনার ডেলিভারি হয়েছে ৬৫ টিইইউস। ওই দিন ৩ হাজার ২৩৪ টিইইউস রপ্তানির কনটেইনার নিয়ে চারটি জাহাজ বন্দর ছেড়ে গেছে। এসব জাহাজে খালি কনটেইনার ছিল আরও ৯৪৭টি।

এদিকে মঙ্গলবার চট্টগ্রামের চার শতাধিক পোশাক কারখানায় উৎপাদন শুরু হয়েছে। এর মধ্যে কোরিয়ান ইপিজেড, চট্টগ্রাম ইপিজেডসহ নগরীর অক্সিজেন, নাসিরাবাদ, সাগরিকা, কালুরঘাটের পোশাক কারখানাগুলোতে ছিল স্বস্তি। উৎপাদন কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন শিল্প পুলিশ ও বিজিএমইএর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বুধবার শতভাগ কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।