চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া রোগীদের মধ্যে বেশিরভাগই দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হয়েছিলেন। এছাড়া, যারা দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের অবস্থা দ্রুত খারাপের দিকে যাচ্ছে। তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি না হওয়ায় দেখা দিচ্ছে অন্যান্য সমস্যাও। এর মধ্যে চলতি বছরে আক্রান্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে ডেঙ্গুর ডেন-২ ও ডেন-৩ ধরন বেশি দেখা যাচ্ছে।
ডাক্তারদের মতে, জ্বর হলেই ডেঙ্গু পরীক্ষা করে রিপোর্ট পজেটিভের পর দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হবে। বিশেষ করে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুঝুঁকি বেশি। তাদের প্রেসার কমে যাওয়া, বমি হওয়া, প্রস্রাব ও পায়খানা দিয়ে রক্ত যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দিচ্ছে।
সরেজমিন চট্টগ্রাম মেডিকেলে গেলে কথা হয় ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি দুই নারীর সঙ্গে। তারা আগেও একবার ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু সেটা তারা জানতেন না। সেইবার ডেঙ্গু পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন। এখন আবারও তারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত।
চট্টগ্রাম মেডিকেল ঘুরে দেখা গেছে, ১৩, ১৪, ১৫ নম্বর মেডিসিন ওয়ার্ড এবং ৮ ও ৯ নম্বর শিশু ওয়ার্ডে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা চলছে। প্রথমবার ডেঙ্গু আক্রান্তদের সঙ্গে দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদেরও রাখা হয়েছে। দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর ডায়েরিয়া ও বমির ভাব থাকায় তাদের ওয়াশরুম ব্যবহারের ক্ষেত্রে পড়তে হচ্ছে বিপাকে। মেডিসিন ওয়ার্ডের ওয়াশরুমগুলো নোংরা-অপরিচ্ছন্ন। পর্যাপ্ত পানি নেই, কলের মুখ ভাঙা, দরজা ভাঙা।
এদিকে চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এই সময়ে আড়াই বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আক্রান্তদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৬৫ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে ২৫ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। বর্তমানে হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩৫৪ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চট্টগ্রামে চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩০৩ জন।
এআই