চট্টগ্রামে ট্রাফিকের কাজে শিক্ষার্থীরা: বেজায় খুশি সাধারণ মানুষ

সড়কে নেই কোন চাঁদাবাজি। নেই পুলিশের হয়রানি। নির্বিঘ্নে সুশৃঙ্খলভাবে চলছে গণপরিবহন, প্রাইভেট গাড়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণির যানবাহন।

চট্টগ্রাম নগরীর শাহ্ আমানত ব্রীজ গোল চত্বর, কালামিয়া বাজার, রাহাত্তারপুল, এক কিলোমিটার, চান্দগাঁও, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, ষোলশহর, দুই নম্বর গেইট, অক্সিজেন মোড়, জিইসি, ওয়াসা, লালখান বাজার, টাইগারপাস, কদমতলী, দেওয়ানহাট, আগ্রাবাদ বাদামতলী, বারিকবিল্ডিং, ৩নং ফকিরহাট, কাস্টম হাউজ, ফ্রি-পোর্ট, স্টেশন রোড, নিউ মার্কেট, কোতোয়ালী, লালদিঘীর পাড়, বক্সির বীট, আন্দরকিল্লা, দেওয়ান বাজার, চকবাজার, কাজীর দেউড়ি, জামালখান সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে। তাদের পাশাপাশি কাজ করছে বাংলাদেশ স্কাউট‌’স‌ এর বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চলের স্কাউট ও রোভাররা। এছাড়াও কাজ করছে দেশের বিভিন্ন অরাজনৈতিক সংগঠন গুলোও। তাদের আচার-ব্যবহারে বেজায় খুশি পদচারী-সাধারণ মানুষ।

নগরীর জিইসি মোড়ে গণপরিহন চালক রমিজ উদ্দীনের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, কাউকে এখন আমাদের চাঁদা দিতে হচ্ছেনা। নেই পুলিশের কোন হয়রানি। আমরা নির্বিঘ্নে গাড়ি চালাচ্ছি।

গণপরিবহন যাত্রী নুরুল আলম বলেন, যানজট না থাকায় আমরা দ্রুত গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে পারছি। যানবাহনের শৃঙ্খলা রক্ষায় রাস্তায় ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষার্থীরা কোন স্টপেজে যানবাহনকে অহেতুক বেশিক্ষণ দাঁড়াতে দিচ্ছেনা। ফলে যানজট ছাড়া যানবাহন চলাচল করছে।

এদিকে নগরীতে কোথাও সিটি কর্পোরেশনের কোন পরিচ্ছন্ন কর্মীকে দেখা যায়নি। শিক্ষার্থীরা ঝাড়ু হাতে নিয়ে সড়কে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারের কাজও করছে। শিক্ষার্থীদের এরূপ মহৎ কাজে আপ্লুত হয়ে বিভিন্ন পেশার হৃদয়বান ব্যক্তিরা তাদেরকে ঠান্ডা পানীয়, বিস্কুট, কেক, সিঙ্গারা দিয়ে আপ্যায়িত করতে দেখা গেছে। দেশপ্রেমিক কোমলমতি শিক্ষার্থীরা দেশ গঠনে আরো এগিয়ে যাবে বলে অনেকে মন্তব্য করেন।