স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রামে চলমান ৪টি প্রকল্প দ্রুত শেষ করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাগুলোকে চিহ্নিত করে দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করতে হবে। জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানে সংশ্লিষ্ট সবগুলো সংস্থাকে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হবে। শুধু প্রকল্পের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান সম্ভব না। এজন্য প্রয়োজন জনগণের সহযোগিতা। জনগণকে সচেতন করতেও কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের জলাবদ্ধতা, ডেঙ্গু পরিস্থিতি ও সার্বিক কর্মকান্ড নিয়ে মতবিনিময় সভা টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে রোববার বিকালে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ.এফ. হাসান আরিফ আরো বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসণ চট্টগ্রামের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। চট্টগ্রামের সাথে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি জড়িত। এজন্য এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সংস্থাগুলোকে ইগো ত্যাগ করে জনস্বার্থে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু থেকে জনগণকে বাঁচাতে চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগকে ভূমিকা রাখতে হবে। ডেঙ্গু পরীক্ষার পর্যাপ্ত কীট এবং হঠাত করে রোগীর চাপ দেখা দিলে রোগীদের চিকিৎসা প্রদানের বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে।
সভায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রম সম্পর্কে উপদেষ্টা মহোদয়কে অবহিত করেন।
সভায় সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম ও চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা জানান, ডেঙ্গুতে মৃত্যুহার কমানোর ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ হলো প্রাথমিক পর্যায়ে রোগীকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা। কেউ জ্বরে আক্রান্ত হলে রোগী বা রোগীর স্বজনরা যদি প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা নেন তাহলে মৃত্যুহার কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমি বলেন, ৪১টি ওয়ার্ডেই নিয়মমাফিক মশা ঔষধ ছিটানোর পরও দেখা যাচ্ছে কয়েকটি ওয়ার্ডে মশা কমছেনা। অথচ একই ঔষধে অন্যান্য এলাকায় মশা নিয়ন্ত্রণে আছে। এতে ধারণা করছি বিদ্যমান ঔষধের প্রতি কিছু প্রজাতির মশার হয়তো প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হয়েছে৷ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মশার জীবনচক্রও বদলে যাচ্ছে।
এজন্য মশা নিয়ন্ত্রণের বিজ্ঞানভিত্তিক উপায় জানতে গবেষণা প্রয়োজন। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের পরামর্শে ভেষজ মেডিসিন মস্কুবান ব্যবহার করে সাফল্য পাওয়া গেছে৷ এধরনের মশা নিয়ন্ত্রণের কার্যকর উপায় খুঁজতে গবেষণা প্রয়োজন।