ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে দুর্ঘটনাকবলিত ‘সাগর নন্দিনী-২’ নামের তেলবাহী জাহাজ থেকে তেল অপসারণের সময় ফের বিস্ফোরণে লাগা আগুন নিভে গেছে। এটি এখন বিস্ফোরণের ঝুঁকিমুক্ত বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সাগর নন্দিনী-২ নামের জাহাজটিতে প্রথম গত ১ জুলাই বেলা ২টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ঘটে। তখন আমাদের বেশ কয়েকটি ইউনিট দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর সেই ভ্যাসেলটি থেকে চারলাখ লিটার পেট্রোল ও ডিজেল অপসারণের লক্ষে সাগর নন্দিনী-৪ নামক অপর একটি ট্যাংকার সেখানে আসে। বিআইডব্লিউটিএ থেকে আমরা জানতে পেরেছি ২৫ হাজার লিটার জ্বালানি তেল অপসারণ করার পর আবারও বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে সাগর নন্দিনী-২ নামের জাহাজটিতে।
তিনি বলেন, এ জায়গাটা এখন নিরাপদ। আগুন নেভাতে আমরা যে পরিমাণ ফোম মিশ্রিত পানি ওখানে ব্যবহার করেছি, তাতে পর্যাপ্ত ফোম রয়েছে ভ্যাসেলটিতে। জাহাজের ভেতরে তেল সংরক্ষণের বিভিন্ন কমপার্টমেন্ট থাকে, ওখানে গ্যাস সৃষ্টি হয় বা বায়ু শূন্য হয়ে আবারও বিস্ফোরণ হতে পারে। তবে আমরা মনে করছি, পর্যাপ্ত ফোমের কারণে জায়গাটি বিস্ফোরণের আওতামুক্ত।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ডসহ আমাদের ১২টি ইউনিট ছিল। আমাদের সিস্টেম অনেক ছিল, তবুও আমরা পানি দিয়ে আগুন নির্বাপণ করতে পারছিলাম না। সবসময় ফোম দিয়ে আগুন নির্বাপণ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছি।
এরআগে শনিবার (১ জুলাই) দুপুরে বিকট শব্দে সাগর নন্দিনী-২ জাহাজে বিস্ফোরণ ঘটে। পরে পুরো জাহাজে আগুন লেগে যায়। এতে চারজন শ্রমিক দগ্ধ হন এবং চারজন শ্রমিক নিখোঁজ হন। পরে দুই দিন অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, সাগর নন্দিনী-২ জাহাজটি ২০২২ সালের ২৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে তেল নিয়ে চাঁদপুরে পদ্মা অয়েল কোম্পানির ডিপোতে যাওয়ার পথে ভোলার তুলাতুলি কাঠিরমাথা এলাকায় ডুবে গিয়েছিল। এছাড়া ২০২১ সালের ১২ নভেম্বর সুগন্ধা নদীর একই স্থানে একই কোম্পানির সাগর নন্দিনী-৩ জাহাজটিতেও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই বিস্ফোরণে পাঁচজন নিহত হয়েছিলেন।
এমএইচএফ