গোপালগঞ্জে দিদার হত্যা, যা বলল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলায় সেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে অন্তত ৫০ জন। হামলার এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

শনিবার সংগঠনটির অন্যতম সমম্বয়ক আবু বাকের মজুমদার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড গণতন্ত্র, স্থিতিশীলতা ও জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিটের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দাবি করছে, অনতিবিলম্বে হামলার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হোক। পাশাপাশি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত আওয়ামী লীগ এবং এর সকল অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

এতে আরও বলা হয়, আমরা আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি এবং নিহত শওকত আলী (দিদার) এর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। একই সাথে, এ ঘটনার যথাযথ তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে গোপালগঞ্জ জেলা শহরের বেদগ্রাম মোড়ে জেলা বিএনপি আয়োজিত পথসভা শেষে এস এম জিলানীর বাড়ি টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা হন। পথে ঘোনাপাড়া মোড়ে পৌঁছালে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের দুই থেকে তিনশ নেতাকর্মী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিতে হামলা করেন। এতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের অন্তত ৩৫ জন নেতাকর্মী আহত হন। এ ঘটনায় সেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার নিহত হন।