চট্টগ্রামে আশঙ্কাজনকহারে বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে শনাক্ত হয়েছেন ১৭৪ জন, যা গতবছরের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি।
চলতি মে মাসেই ৪৫ জন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশুও রয়েছে।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৭৭ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২২ জন, মার্চ মাসে ১২ জন, এপ্রিলে ১৮ জন এবং মে মাসে ৪৫ জন রোগীর ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। গত বছরের জানুয়ারিতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল যথাক্রমে জানুয়ারিতে ৯ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৪ জন, মার্চ মাসে ১ জন, এপ্রিলে ৩ জন এবং মে মাসে শূন্য।
সিভিল সার্জন অফিসের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, প্রতিবছরই চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ২০২০ সালে চট্টগ্রামে রোগীর সংখ্যা ছিল মাত্র ১৭ জন, ২০২১ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৭১ জনে, ২০২২ সালে সর্বোচ্চ ৫,৪৪৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামের হাসপাতাল এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। সিটি কর্পোরেশন এলাকা ছাড়াও উপজেলাগুলোতেও ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে।
এবার পুরোদমে বর্ষা না নামতেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। জুলাই-আগস্টে কী পরিস্থিতি হবে, তা নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ চিন্তিত বলে উল্লেখ করেন তিনি।
থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে বলে মনে করছেন সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী। তিনি বলেন, বৃষ্টির পানি জমে মশার লার্ভার সৃষ্টি হচ্ছে। যেখানে এডিশ মশার প্রজনন (বংশ বিস্তার) ঘটছে। মূলত এ কারণেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে।
‘ডেঙ্গু প্রতিরোধের অন্যতম উপায় হচ্ছে মশার লার্ভা ধ্বংস করা, এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধ করা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মশক নিধন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে হবে এখনি,’ যোগ করেন তিনি।