চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম পৌর এলাকায় শিক্ষা ব্যবস্থা সর্বোচ্চ স্থান দখল করেছে, এই সম্মানজনক অবস্থানের কৃতিত্বের দাবিদার একমাত্র নুর আহমদ চেয়ারম্যান। উপমহাদেশের প্রথম অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষার প্রবর্তক তৎকালীন চট্টগ্রাম পৌরসভার চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজ হিতৈষী ব্যক্তিত্ব নুর আহমদ চেয়ারম্যান।
ইতিহাসকে মুছে ফেলা যায় না, এই অপচেষ্টা যারা করে তারা বোকার স্বর্গে বাস করে। নতুন প্রজন্মকে এই সকল গুণী মানিষীদের সম্পর্কে জ্ঞান দানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি এই মহতি উদ্যোগের জন্য আমাদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তাঁর আত্মত্যাগ এবং সমাজ হিতোষী কাজকে অনুসরন করতে পারলে সমাজ উন্নয়নের সমস্ত স্তবিরতা কেটে যাবে। বর্তমান সময়ে তার মত দক্ষ দেশ প্রেমিক ও অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ানের প্রয়োজন। নুর আহমদ চেয়ারম্যান কর্মের মধ্যদিয়ে চট্টগ্রামসহ দেশের মানুষের মনিকোঠায় স্থান করে নিয়েছিলেন।
শনিবার সকালে আন্দরকিল্লাস্থ সিটি কর্পোরেশনের কে.বি আবদুচ ছাত্তার মিলনায়তনে মরহুমের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র একথা বলেন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন-চসিক সমাজ কল্যাণ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম। বক্তব্য রাখেন-প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, নুর আহমদ চেয়ারম্যানের দৌহিত্র অধ্যাপক সেলিম জাহাঙ্গীর, চসিক প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, ড. মাসুম চৌধুরী, অধ্যক্ষ শেখ ওমর ফারুক, প্রধান শিক্ষক রুমা বড়ুয়া।
স্মরণসভার পূর্বে আলকরণস্থ মরহুমের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন, কবর জিয়ারত ও মরহুমের রূহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদনকালে উপস্থিত ছিলেন-চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, আবদুস সালাম মাসুম, গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের, আতাউল্লাহ চৌধুরী, পূলক খাস্তগীর, জহর লাল হাজারী, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন, খোরশেদ আলম, তানভীর আহমদ রিংকু, জাহাঙ্গীর আলম, তাজ উদ্দীন রিজভী প্রমুখ।