গাজীপুরে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন

গাজীপুর মহানগরীর সদর মেট্রো থানা এলাকায় এক পাষণ্ড স্বামী নির্মম স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। বুধবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ম গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩১নং ওয়ার্ড পশ্চিম ধীরাশ্রম ফুলবাড়িয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ সালেমা বেগম পশ্চিম ধীরাশ্রম ফুলবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা মো: করম আলির মেয়ে। ঘাতক স্বামী মো:মোস্তফা ঢাকা কেরানিগঞ্জ এলাকার বলে জানা গেছে। তবে দীর্ঘ ১০ বছর যাবত নগরীর পশ্চিম ধীরাশ্রম এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন। জানা যায় তুচ্ছ ঘটনা ও বাকবিতন্ডাকে কেন্দ্র করে সালমা বেগমকে নির্মমভাবে কুপিয়ে জখম করে ঘাতক স্বামী মোস্তফা। এরপর এলাকার বাসিন্দারা দরজা খুলে স্ত্রী সালমা বেগমকে ফ্লোরে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এদিকে ঘাতক স্বামী মোস্তফাকে বেঁধে রেখে পুলিশে দেয় স্থানীয় জনগণ।

ঘটনার রাতে মোস্তফা বাড়ি ফেরায় পর স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ঘাতক স্বামী মোস্তফা ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরের দরজা আটকে স্ত্রী সালেমার মাথায় ধারালো দা দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে জখম করে। এরপর আশেপাশের মানুষ চিৎকার শুনে দরজা খোলার জন্য ডাকাডাকি করলে ঘাতক স্বামী মোস্তফা বলে”আমি আমার স্ত্রীকে মেরে ফেলেছি,আমি দরজা খুললে আপনারা আমারে মাইরা ফেলবেন”
এরপর স্থানীয় লোকজন অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পর দরজা খুললে স্ত্রী সালমা বেগমকে ফ্লোরে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়,এরপর দ্রুত তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়,এদিকে ঘাতক স্বামী মোস্তফাকে বেঁধে রাখে। এরপর ৯৯৯ ফোন করলে গাজীপুর সদর থানার পুলিশ এসে ঘাতক স্বামী মোস্তফাে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়ে জায়। নিহত সালেমা বেগমের বড় মেয়ে মোসা:মর্জিনা আক্তার জানান,তার মা সালেমা দীর্ঘদিন ধরে দ্বিতীয় স্বামী মোস্তফা কে বিয়ে করে একসাথে সংসার করে আসতেছিল। হঠাৎ করে আজ এই ঘটনা ঘটে। রাতে হঠাৎ আমার মা চিৎকার করে বলে’মর্জিনা বাঁচা ‘আমারে মাইরা ফেললো “। এরপর আমি পাশের রুম থেকে চিৎকার শুনে দ্রুত বের হয়ে দরজা খোলার জন্য ডাকাডাকি করি,কিন্তু আমার মা দরজা খুলে নি।এরপর এলাকার লোকজনকে ডাকাডাকি করলে স্থানীয়রা এসে আমার মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।আমার মাকে নির্মমভাবে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হইছে, আমি এই হত্যার কঠিন বিচার চাই।

এ বিষয়ে গাজীপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো:মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,পারিবারিক কলহ থেকেই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে । অভিযুক্ত স্বামী থানা হেফাজতে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। ওসি মো.মেহেদী হাসান আরও জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।