গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ পদ্ধতি ‘গণহত্যা’র শামিল

অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি কার্যক্রম তদন্তে জাতিসংঘের বিশেষ কমিটি বলেছে, গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ পদ্ধতি ‘গণহত্যা’র সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। যার মধ্যে ‘ক্ষুধা’কে যুদ্ধের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক নতুন প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী কর্তৃক বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও জীবনসংকট সৃষ্টির পরিস্থিতি ‘ইচ্ছাকৃতভাবে চাপানো’ হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কমিটি জানায়, ‘যুদ্ধের শুরু থেকেই ইসরাইলি কর্মকর্তারা এমন নীতির প্রকাশ্য সমর্থন করেছেন, যা ফিলিস্তিনিদের জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য, পানি এবং জ্বালানি থেকে বঞ্চিত করেছে’।

জাতিসংঘের বিশেষ কমিটি আরও জানায়, ‘এই বিবৃতি এবং মানবিক সাহায্যে নিয়মিত ও অবৈধ হস্তক্ষেপ স্পষ্ট করে যে, ইসরাইল গাজায় জীবন-রক্ষাকারী সরবরাহকে রাজনৈতিক ও সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে’।

প্রতিবেদনে গাজার জন্য সাহায্য সরবরাহে ইসরাইলি প্রতিরোধ, যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ক্ষুধাকে ব্যবহারের মতো কার্যকলাপ এবং বেসামরিক হতাহতের ক্ষেত্রে অসতর্কতার মতো আচরণের উল্লেখ করা হয়েছে। যা অন্যান্য জাতিসংঘ ও মানবিক সংস্থার নিন্দার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।

তবে ইসরাইলের জন্য গাজা পরিস্থিতির ক্ষেত্রে জাতিসংঘের সঙ্গে যুক্ত কোনো সংস্থার পক্ষ থেকে ‘গণহত্যা’ শব্দটি প্রায়ই ব্যবহার করা হয় না।

মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় গত মাসে কমপক্ষে ২০ জন সহায়তা কর্মী নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে চারজন ওয়াক্সফামের কর্মী ছিলেন। যারা একটি পরিষ্কারভাবে চিহ্নিত গাড়িতে ভ্রমণ করছিলেন।

এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলের হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ৪৩,৭১২ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১০৩,২৫৮ জন আহত হয়েছেন।

অন্যদিকে লেবাননে ইসরাইলি হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩,৩৬৫ জন নিহত এবং ১৪,৩৪৪ জন আহত হয়েছেন। সূত্র: আল-জাজিরা