গণতন্ত্র সংহত করা সবার সম্মিলিত দায়িত্ব: তথ্যমন্ত্রী

বিএনপি সংসদ বর্জন, সংসদ থেকে পদত্যাগের মতো অপরাজনীতি না করলে বিশ্ব গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশের আরও উন্নতি হতো বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) ‘গণতন্ত্র সূচক ২০২২’ প্রকাশ করেছে। সেখানে বাংলাদেশ দুই ধাপ এগিয়েছে।

প্রকৃতপক্ষে গত ৫ বছরের প্রতিবছরই গণতন্ত্র সূচকে ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিলো ৮৮তম, ২০১৯ সালে ৮০তম, ২০২০ সালে ৭৬তম, ২০২১ সালে ৭৫তম এবং এবছর বাংলাদেশের অবস্থান ৭৩তম।

তিনি বলেন, বিএনপির নেতারা, তাদের সমমনা নেতারা এবং কিছু কিছু বুদ্ধিজীবী ক্রমাগতভাবে বলে আসছে, টিভির পর্দা ও জনসভা গরম করছে এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করা অপচেষ্টা করছে দেশে গণতন্ত্র নেই বলে।

অথচ গত পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশ গণতন্ত্র সূচকে ক্রমাগত অগ্রগতি করছে। এতেই প্রমাণিত হয় বিএনপিসহ অন্যান্য দল বা ব্যক্তি বিশেষ বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে এবং গণতন্ত্র নাই বলে যে ধোয়া তোলা এগুলো যে মিথ্যা ও অসাড় সেটাই প্রমাণ করে।

তিনি বলেন, প্রকৃত পক্ষে বাংলাদেশের গণতন্ত্র আরও সংহত হতো। গণতন্ত্রকে দৃঢ় ও সংহত করার দায়িত্ব শুধু সরকারের একার নয়। সবার সম্মিলিত দায়িত্ব হচ্ছে গণতন্ত্র সংহত করা। সেটা সব রাজনৈতিক দল, সরকারি দল, বিরোধীদলের দায়িত্ব। সে সরকারের থাকুক বা না থাকুক।

বাংলাদেশ গণতন্ত্র আরও সংহত হতো। আরও অগ্রগতি করতো, কয়েক ধাপ উন্নীত হতো। যদি বিএনপির অপরাজনীতি না থাকতো। সংসদ বর্জন, সংসদ থেকে পদত্যাগ- এই অপরাজনীতি যদি না থাকতো গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশ আরও বহু ধাপ এগিয়ে যেতে পারতো।