বিএনপির একদফা ভুয়া, এক দফা খাদে পড়ে গেছে বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এবার খেলা হবে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে ও হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, খেলা হবে, হবে খেলা…যত লাফালাফি আর তাফালিং করেন। ফখরুল সাহেব, তারেক জিয়ার এই লাফালাফিতে কাজ হবে না। যতই তাফালিং করেন ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন বহুদূরে চলে গেছে। ওটা খুঁজে পাবেন না, লাফালাফি করবেন না। রাজনীতির খেলায়, আন্দোলনে আওয়ামী লীগকে কেউ হারাতে পারে না। রাজনীতির খেলায় আওয়ামী লীগ হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন। তাই আন্দোলন করে হারানো যাবে না।
তিনি বলেন, কারও চোখ রাঙানির পরোয়া বঙ্গবন্ধুকন্যা করেন না। যেদিকে তাকাই লোকে আজ লোকারণ্য। শুধু মানুষ আর মানুষ। যেদিকে তাকাই তারণ্যের মিছিল, বঙ্গপসাগরের ঢেউ। যেদিকে তাকাই কর্ণফুলীর উত্তাল তরঙ্গ। কোথায় দাঁড়াবে? আমরা ছেড়ে দেব, সংঘাত করব না। আমরা সংঘাত চাই না। আমরা সংঘাতের জন্য এই সমাবেশ করছি না। আমরা সমাবেশ করছি, ২০১৩-১৪ সালে যারা সংঘাত-সহিংসতা করেছে, মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে তাদের কাছ থেকে জনগণের জানমাল রক্ষার জন্য।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তারেক রহমান পুলিশকে ধমক দিচ্ছে। প্রশাসনকে ধমক দিচ্ছে। তারেক রহমান ফখরুলকে বলছে আন্দোলনের টাকার অভাব হবে না।
এর আগে বিকেল সোয়া ৩টায় কোরআন তেলাওয়াত, পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের তিন সংগঠনের শান্তির সমাবেশ শুরু হয়। দুপুর থেকে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশস্থলে উপস্থিত হতে থাকেন।
শান্তি সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিল ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন।
সমাবেশে আরও অংশ নেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, মাহবুবুল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেসবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু ও ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।
এমএইচএফ