খুলনায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। খুলনা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খালিদ উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সোহেল রানা (২০), গাজী সালাউদ্দীন (৪২), আতাউর রহমান (৪৮), সেকেন্দার শেখ (৬০), শাইখুল মোল্যা (৩৪), ওয়াহিদ শেখ (৩২), রাসেল (২৪), রাব্বি চৌধুরী (২৯), মাহবুব গাজী (২৬), মনিরুজ্জামান মামুন (৪২), রাজু শেখ (৪১), আলিফ মিলন (৩১) ও রাসেল (২৭)।
শনিবার (২০ মে) বেলা ১১টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন খুলনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন।
তিনি বলেন, শুক্রবার রাতেই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলায় বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনসহ ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এসএম শফিকুল আলম মনা বলেন, সমাবেশে আমাদের উপর হামলা করা হয়েছে। বক্তব্য দিতে দেয়নি। উল্টো আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। হামলা-মামলা করে বিএনপি নেতাকর্মীদের দমন করা যাবে না।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৯ মে) বিকেলে সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে খুলনা প্রেসক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ আহবান করে বিএনপি। প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়ো হয়। আগে থেকেই সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রাইভেটকারে করে ক্লাবের সামনে আসেন। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকে। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। অপরদিকে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।