ক্ষতির আশঙ্কায় শঙ্কিত চাষীরা, রাউজানে মরিচ চাষীদের কপাল পুড়ছে ‘পোকা’

চট্টগ্রামের রাউজানে শোষক পোকার (ক্ষুদে মাকড় বা মাইট) আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মরিচ চাষীরা। পোকার আক্রমণে মরিচ পাতা কোঁকড়িয়ে মরিচ নষ্ট ও ফলন বৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।

উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় পোকার আক্রমণে মরিচ ক্ষেত নষ্ট হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এবার লোকসানের মুখে পড়ার আশঙ্কায় শঙ্কিত মরিচ চাষীরা। মরিচ চাষীরা কিছুটা লোকসানের মুখে পড়তে পারে তবে মাকড় নাশক ঔষধ স্প্রে করলে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে মনে করছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।

উপজেলা কৃষি বিভাগের সূত্র মতে, রাউজানে এবার ২৩০ হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। ২৩০ হেক্টর জমি থেকে ২ হাজার ৭৬০ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ, শুকনো মরিচ হলে ২৫০ মেট্রিক টন মরিচ উৎপাদন হতে পারে অনুমান করছে কৃষি বিভাগ কর্তৃপক্ষ।

রাউজান পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক ইসহাক ইসলাম প্রকাশ মিয়া বলেন, আমি ২৪ শতক জমিতে মরিচ ক্ষেত করেছি। ফলন দিতে শুরু করলেও হঠাৎ মরিচ পাতা কোঁকড়িয়ে মরিচ নষ্ট হচ্ছে। ফলন বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা কয়েকটি ঔষধ লিখে দিয়ে স্প্রে করার জন্য বললেও তাতেও সুফল মিলছে না। শুরু থেকে এ পযন্ত ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন লাভ তো দূরের কথা যে পরিমাণ বিনিয়োগ করেছি তাও উঠবে সম্ভাবনা নেই। আগে কখনো এই ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়নি জানিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। অন্যদিকে মরিচ চাষী জাহাঙ্গীর বলেন, প্রত্যেক বছর মরিচ চাষ করি, ফলনও ভালো হয়। এবার মরিচ ক্ষেত এক ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ক্ষতির আশঙ্কা করছি।

রাউজান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুম কবির বলেন, ‘এবার মরিচ ক্ষেতে থ্রিপস পোকা ও মাকড়ের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। প্রচণ্ড তাপমাত্রার কারণে পোাকার আক্রমণ বেড়েছে বলে মনে করছেন তিনি। আক্রমণ বেশি হলে প্রতি ১০ লিটার পানিতে ১০ মিলি হারে টাফগর স্প্রে করতে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে । এই স্প্রে দ্বারা পোকার আক্রমণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলে মনে করছেন তিনি। এবার পোকার আক্রামণে কৃষকেরা কিছুটা লোকসানের মুখে পড়তে পারে, পোাকার আক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কৃষি বিভাগ কৃষদের পাশে আছে। বৃষ্টি হলে পোকার আক্রমণ কমে যেতে পারে বলে ধারণা এই কর্মকর্তার।