ক্লাসঘরে শিক্ষকরাও ছাত্রদের কাছ থেকে কিছু শেখেন

প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ড. পবিত্র সরকার

প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তার বক্তব্যে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. পবিত্র সরকার বলেছেন, ছাত্র আর শিক্ষক- এই দুটি শ্রেণি সম্পূর্ণ ভিন্ন ও বিপরীত সম্প্রদায় বলে আমি স্বীকার করি না। ক্লাসঘরের মধ্যে আমরা শিক্ষকরাও ছাত্রদের কাছ থেকে কিছু শিখি। অনেকে প্রশ্ন করে আমাদের শেখায় বা শিক্ষাকে নির্দিষ্ট ও মার্জিত করে। অনেকে আমার অজ্ঞাত কোনো খবর বা তথ্য দিয়ে, অনেকে অন্য একটা দৃষ্টিভঙ্গি এনে। আমি তো আমার ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে এভাবে কত শিখেছি। শুধু নিজের বিষয়ে নয়, অন্যান্য বিষয়েও।

রোববার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম নগরের টাইগারপাসে নেভি কনভেনশন সেন্টারে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টির তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তনে যারা ডিগ্রি গ্রহণ করছে, তাদের উত্তর-জীবনও সাফল্যে পরিপূর্ণ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। উপাচার্য বলেন, মানসম্মত শিক্ষাকার্যক্রম ও বহুমুখী সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয় দেশে বিদেশে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছে। শিক্ষার্থীদের একাডেমিক দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সৃজনশীলতা সৃষ্টির জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়।

আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেন। সমাবর্তনে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণকে রঙ্গিন করতে নিরলস কাজ করে গেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষরা।


প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলেন, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি থেকে পাস করে বেরিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশের নানা ক্ষেত্রে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছে। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তাদের বিশ্বাস।

এবারের সমাবর্তনে ৫৬৯৭ জন গ্রেজুয়েট শিক্ষা সমাপনী সনদ গ্রহণ করেন, এর মধ্যে সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করেন ১১০৯ জন গ্র্যাজুয়েট। কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করায় সমাবর্তনে তিনজন আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ও তিনজন পোস্ট গ্র্যাজুয়েটকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল, তিনজন আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ও তিনজন পোস্ট গ্র্যাজুয়েটকে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী গোল্ড মেডেল এবং তিনজন আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ও তিনজন পোস্ট গ্র্যাজুয়েটকে ভাইস-চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়। এছাড়া ১৮ জন আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ও ১৩ জন পোস্ট গ্র্যাজুয়েটকে ডিন অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।