দেশকে উন্নত করতে ‘যে কোনো কাজ’ করার জন্য নিজেদের প্রস্তুত রাখতে যুবসমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, কোনো কাজকে আমরা ছোট করে দেখি না। যে কোনো কাজ করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোটাই গর্বের বিষয়।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) ‘জাতীয় যুব দিবস’ এর উদ্বোধন এবং ‘জাতীয় যুব পুরস্কার’ বিতরণ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি যুবসমাজের প্রতি এ আহ্বান জানান।
এ সময় দেশের যুবসমাজ সব থেকে বড় শক্তি মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের একটা প্রশিক্ষিত যুবশ্রেণি গড়ে তোলা অপরিহার্য। এই শক্তিটাকেই আমাদের যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে।
সরকারপ্রধান বলেন, দেশে কত প্রশিক্ষিত যুবশ্রেণি রয়েছে সেটা জানতে একটা ডাটাবেজ তৈরি করার পদক্ষেপ চলছে। তাহলে আমরা জানতে পারব কাদের কর্মসংস্থান হয়েছে আর কাদের হয়নি। যারা প্রশিক্ষিত হয়েও কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছে না, তারাও যেন কর্মসংস্থানের সুযোগ পায়- সেই ব্যবস্থা আমরা নিতে চাই।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য আমরা সমগ্র বাংলাদেশে একশ’ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। যথাযথভাবে প্রশিক্ষণ নিলে এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে যত বেশি বিনিয়োগ হবে, আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েদেরই তাতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।
করোনাকালে কৃষকদের ধান কাটা ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে যুবসমাজের সহযোগিতার কথা ‘গর্বের সঙ্গে’ স্মরণ করে সরকারপ্রধান বলেন, যে কোনো সংকট সমাধানে যুবকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি বলেন, বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। তার সঙ্গে আমাদের তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আর সেই কাজটা আমাদের যুবসমাজই করবে। ছাত্র-তরুণরাই করবে।
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মূল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ হাসান রাসেল। এবার আত্মকর্মসংস্থানে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখায় ১৫ জন এবং স্বেচ্ছাসেবায় অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত রাখায় ৬ জনকে জাতীয় যুব পুরস্কার দেয়া হয়।