শনিবার রাতে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে খ্রিষ্টানদের অন্যতম প্রধান উৎসব হ্যালোইন উদযাপনের অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে এ পর্যন্ত ১৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৫০ জন এবং এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৩৫৫ জন। আহতদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে, এই ঘটনায় আগামী ৫ নভেম্বর পর্যন্ত ঘটনায় রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। কিন্তু, কেন এত মৃত্য, আসলে কী হয়েছিল সেখানে, তার উৎস খুঁজে বের করতে চেষ্টা চালাচ্ছে দেশটির প্রশাসন। তুলনামূলক ছোট জায়গায় অধিক জনসমাগমের কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ধারণা করছে তারা। রোববার (৩০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনার পরপরই জরুরি বৈঠকে বসেন দেশেটির রাষ্ট্রপতি। মূলত খুব ছোট একটা গলিতে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হওয়ার কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়।
গতকাল শনিবার হ্যামিল্টন হোটেলের কাছে ইটাওয়ানের একটি সরু গলিতে লাখ লাখ মানুষ জড়ো হয়েছিল। কোভিড বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর এটিই প্রথম হ্যালোউইন ইভেন্ট ছিল। কোভিড বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় রাজধানী সিউলে ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়।
সিএনএনের প্রতিবেদনে অনুযায়ী, এক লাখেরও বেশি লোক ওই সরু গলিতে ছিলেন। তাছাড়া হ্যামিল্টন হোটেল থেকে এবং ইটাওয়ানের ভূগর্ভ রেলস্টেশন থেকেও প্রচুর মানুষ বেরিয়ে এসেছিল বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সবাই সরু গলিতে থাকা বার, পাব এবং রেস্তোরাঁগুলোর বাইরে ছিল। এ কারণে ৪ মিটার চওড়া গলিতে ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়। সে সময় হঠাৎ একটা পর্যায় সেখানে একজন সেলিব্রেটির উপস্থিতির খবরে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। এ সময় পদদলিত হয়ে একজন নিহতের খবর পান তারা।