কী করছে সরকার, চট্টগ্রামে জানাবেন প্রধানমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের জন্য কী করেছে, চট্টগ্রামের জনসভায় সেই বার্তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল পলোগ্রাউন্ড মাঠ পরিদর্শনশেষে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।  জনসভার সার্বিক প্রস্তুতি এবং পরিস্থিতি অত্যন্ত সন্তোষজনক বলে এসময় তিনি সাংবাদিকদের জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘পলোগ্রাউন্ডে মাঠের চেয়ে মাঠের বাইরে আরও ৮-১০ গুণ মানুষের উপস্থিতি থাকবে।  প্রধানমন্ত্রী জনসভা থেকে আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের জন্য কী করেছে সেই বার্তা দেবেন।’

তিনি বলেন, বিএনপি দেশকে পেছনে নিতে চায়।  অথচ আওয়ামী লীগ চায় দেশকে এগিয়ে নিতে।

প্রধানমন্ত্রীর জনসভার প্রচারে নৌকার আদলে তৈরি গাড়ি। ছবি: বাচ্চু বড়ুয়া

 

আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির গণসমাবেশের বিষয়ে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, বিএনপি পল্টনে জনসভার নামে দেশে গণ্ডগোল ও বিশৃঙ্খলা করতে চাচ্ছে।  সরকার কাউকে বিশৃঙ্খলা করার সুযোগ কিংবা লাইসেন্স কোনোটাই দেবে না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ ১০ বছর পর জনসভায় যোগ দিতে রোববার (৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে যাবেন।  এ উপলক্ষে উৎসবের আমেজ পুরো চট্টগ্রামে।  নগরজুড়ে চলছে সাজসজ্জা ও প্রচার-প্রচারণার কাজ।  চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নগরীর পলোগ্রাউন্ডে এ জনসভার আয়োজন চলছে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে উপলক্ষ করে সারা চট্টগ্রাম জুড়ে ব্যাপক সাড়া জেগেছে, মানুষের মধ্যে এত উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে।  আমরা আশা করছি পলোগ্রাউন্ডে আমাদের জনসভায় মাঠ পূর্ণ করে মাঠের বাইরে আরো আট-দশগুণ মানুষ হবে ইনশাআল্লাহ।  বাস্তবিক অর্থে এটিই হবে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড অনেক বড় মাঠ, এখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জনসভা করেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাও জনসভা করেছেন।  কানায় কানায় পূর্ণ জনসভা হয়েছে।  অতীতেও মাঠ ছাড়িয়ে মানুষ বাইরে দাঁড়িয়েছে।  আমরা যেভাবে সাড়া দেখতে পাচ্ছি, এবার কিন্তু মাঠের তুলনায় আট-দশ গুণ বেশি মানুষ মাঠের বাইরে থাকতে হবে।  ক’দিন আগে এখানে বিএনপি জনসভা করেছিল।  মাঠের তিন ভাগের একভাগ পেছনে রেখে তারা মঞ্চ বানিয়েছিল।  আর সামনে যে মাঠ ছিল তার অর্ধেক পূর্ণ হয়েছিল।

আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি স্লোগান দেয় ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’, বাংলাদেশকে পিছনে নিয়ে যাও।  অর্থাৎ আবার বাংলাভাই, শাইখ আবদুর রহমানের জমানায় নিয়ে যাও।  আবার হাওয়া ভবন ও খোয়াব ভবন সৃষ্টি কর, পাঁচশ’ জায়গায় বোমা ফোটাও, দুর্নীতিতে দেশকে আবার পরপর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন বানাও।  তাদের স্লোগান অনুযায়ী আমরা বাংলাদেশকে পিছনে নিয়ে যেতে পারি না।

প্রধানমন্ত্রীর জনসভার প্রচারে অংশ নেন আওয়ামী লেগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া

 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজকে উন্নতির সোপানে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে, আমরা দেশকে পিছনে নিয়ে যেতে পারি না।  স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এই জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি।  তাদের হাতে তো আমরা দেশটা তুলে দিতে পারি না।  সেটাও আমরা জনগণের সামনে ব্যাখ্যা দেব।

এসময় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহম্মদ এমপি, সাধারন সম্পাদক মফিজুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, উত্তর জেলার সভাপতি এম এ সালাম ও সাধারন সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিম পেয়ারুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনা সকালে ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে সামরিক বাহিনীর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।  সেখান থেকে দুপুরে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে যাবেন।  স্টেডিয়াম থেকে গাড়িতে করে প্রধানমন্ত্রী পলোগ্রাউন্ডের জনসভায় যোগ দেবেন।

তিনি চট্টগ্রামে সর্বশেষ জনসভায় এসেছিলেন ২০১২ সালের ২৮ মার্চ।  সেদিন তিনি পলোগ্রাউন্ডে ১৪ দলের মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন।  ১০ বছর ৯ মাস পর একই মাঠে আবার ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা।