কিশোরগঞ্জ পৌর এলাকার একটি পুকুর থেকে জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক বাদল রহমানের (৬২) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (৯ জুলাই) সকাল সাতটার দিকে শহরের কানিকাটা এলাকার বেপারীবাড়ির পুকুরের পশ্চিম দিকে মরদেহ পানিতে ভাসতে দেখা যায়। পরে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
বাদল রহমান জেলা শহরের খড়মপট্টি এলাকার মোখলেছুর রহমানের ছেলে। তিনি জেলা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এছাড়া মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জ সদরের সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজসহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
বাদল রহমানের বড় ভাই আতাউর রহমান মিলন জানান, শনিবার রাত আটটার দিকে বাদল বাসা থেকে হাঁটতে বের হয়ে আর ফেরেননি। রোববার সকালে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া গেছে। তার ভাইকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজল বলেন, ‘বাদল রহমান আমাদের সংগঠনের একজন সক্রিয় নেতা। সকালে তাঁর মৃত্যুর খবর শুনতে পাই। ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। আমি তাঁর রহস্যজনক এই মৃত্যুর কারণ জানতে চাই। এ বিষয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশকে অনুরোধ করব।’
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ দাউদ জানান, মরদেহ বর্তমানে থানায় রয়েছে। ইতিমধ্যে মরদেহের সুরতহাল করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক হপসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, নিহতের শরীরে কোন আাঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ব্যবহৃত জিনিসপত্র তার সঙ্গেই পাওয়া গেছে। বিষয়টি খুবই সেনসিটিভ। তার পরিবারকে সব ধরণের আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।
এমএইচএফ