যাদের ত্বক কম তৈলাক্ত তাদের কানের ময়লা দ্রুত শক্ত হয়ে যায়। যাদের মাথায় অধিক পরিমাণে খুশকি হয় তাদের কানে ময়লা বেশি জমে। যারা ঘন ঘন হেডফোন ব্যবহার করেন তাদেরও এই সমস্যা বেশি হয়। ময়লা বেশি জমে গেলে কানে কম শোনার প্রবণতা তৈরি হয়। এবং কানে ব্যথা অনুভূত হয়। কান পরিষ্কার করা জরুরি হয়ে পড়ে। কান পরিষ্কার করার নিরাপদ পদ্ধতি কী জেনে নিন।
কনসালটেন্ট ডাঃ মাহমুদ আসিফ রিফাত বলেন, অল্প পরিমাণে কানের ময়লা কানের সুরক্ষা দেয়। তাই কানে অল্প ময়লা জমলে পরিষ্কার করা উচিত নয়। এতে জীবাণুর আক্রমণ বেশি হতে পারে। কানে বেশি ময়লা জমে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ড্রপ অথবা অলিভ অয়েল ব্যবহার করা উচিত। শিশুদের কানের ময়লা পরিষ্কার করার জন্য অলিভ অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে।
তবে সবার জন্য অলিভ অয়েল ব্যবহার করা নিরাপদ নয়। কানে যদি আগে থেকে কোন ইনফেকশন থাকে বা কানের পর্দা যদি ছেঁড়া থাকে এক্ষেত্রে অলিভ অয়েল ব্যবহার নিরাপদ নয়। কানে আগে থেকে কোনো রোগ থাকলে অলিভ অয়েল ব্যবহারের ফলে বেড়ে যেতে পারে এমনকি কানে ব্যথাও শুরু হতে পারে। কানের ময়লা পরিষ্কার করার জন্য মেয়াদোত্তীর্ণ অলিভ অয়েল ব্যবহার করা যাবে না।
কানের ময়লা পরিষ্কার করতে হলে নির্দিষ্ট পরিমাণে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে হবে। যেমন— কানে যদি ময়লার পরিমাণ কম থাকে তাহলে অলিভ অয়েল এক বা দুইদিন ব্যবহার করলেই কান পরিষ্কার হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে প্রতিদিন দুই থেকে তিন ফোঁটা অলিভ অয়েল দিলে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
কানে ময়লার পরিমাণ বেশি থাকলে পাঁচ থেকে সাত দিন ক্ষেত্রবিশেষে দশদিনও অলিভ অয়েল ব্যবহার করার প্রয়োজন হতে পারে। সেক্ষেত্রেও দিনে একবার দুই থেকে তিন ফোটা অলিভ অয়েল কানে দিতে হবে। এভাবে প্রতিকার না পেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসক মেশিনের সাহায্যে বিশেষ প্রক্রিয়ায় কানের ময়লা পরিষ্কার করে দেবেন।
কানে অলিভ অয়েল দেওয়ার পরে যদি ব্যথা অনুভব করেন বা কানে ইনফেকশন দেখা দেয় তাহলে অলিভ অয়েল ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে।
পালক, শলাকা, কাঠি দিয়ে কান খোঁচানো উচিত নয়। এতে কানে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কান পরিষ্কার করতে হবে।