কাতারে নেইমারদের হেক্সা মিশনে প্রথম প্রতিপক্ষ সার্বিয়া

আজ কী ধারণামতো ব্রাজিলেরই জয় নাকি আরেকটি অঘটন? সৌদি আরব, জাপানের পাশে কী নাম লেখাতে যাচ্ছে সার্বিয়া? ব্রাজিল ম্যাচের আগে এমন জল্পনা-কল্পনাই ভেসে বেড়াচ্ছে ফুটবল বিশ্বে।

স্বাভাবিকভাবেই ফেভারিট দলগুলোর তালিকায় শীর্ষস্থানে বিশ্বকাপের প্রতিটি আসরে খেলা একমাত্র দল ব্রাজিল। সবশেষ ২০০২ সালে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত বিশ্বকাপে খেলতে এসে ব্রাজিল পঞ্চমবারের মত স্বাদ পায় শিরোপা জয়ের।

এরপর কেটে গেছে ২০ বছর এসময় অনুষ্ঠিত হয়েছে চারটি বিশ্বকাপ তার মধ্যে একটি অনুষ্ঠিত হয়েছে নিজেদের ঘরের মাটিতে। তবে আর পারেনি নিজেদের জার্সিতে আরেকটি স্টার যুক্ত করতে। কিন্তু আবার রয়েছে তাদের সামনে সেরা সুযোগ। কেননা এবার সেলেসাওদের দলে প্রতিটি পজিশনেই রয়েছে তরুণ এবং সেরা খেলোয়াড় যারা কিনা বিভিন্ন ক্লাবে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছে বহুবার।

কাতারে মিশন হেক্সা মিশনে আজ রাত ১টায় লুসাইল স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে ব্রাজিল। আসরের প্রথম প্রতিপক্ষ হিসেবে নেইমাররা পাচ্ছে ইউরোপের দেশ সার্বিয়াকে। গতবার অনুষ্ঠিত হওয়া রাশিয়া বিশ্বকাপেও মুখোমুখি হয়েছিল এ দুই দল। ঐ ম্যাচটিতে ২-০ গোলে জয় পায় তিতের ব্রাজিল।

তবে এবার দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে সার্বিয়া। ব্রাজিল যদি কিছুটা সতর্ক না থেকে খেলে তাহলে হয়তো লিওনেল মেসির দল আর্জেন্টিনার মতো ধাক্কা খেতে পারে। সার্বিয়া এবার বিশ্বকাপে প্রবেশের পূর্বে দারুণ কয়েকটি ম্যাচ খেলেছে। এছাড়া বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করেছে একটি ম্যাচও না হেরে। শুধু তাই নয় শেষ ম্যাচে ক্রিশ্চিয়ানোর দল পর্তুগালকে শেষ মুহূর্তের গোলে হারিয়েই তারা এবারের বিশ্বকাপে পা রাখে।

কিন্তু এবারের আসরে আসার আগেই সাম্বা বয়েজ খ্যাত ব্রাজিল দল হেক্স মিশনে বেশ আত্মবিশ্বাসী হয়ে আছে। কেননা বিশ্বকাপের আগে তাদের খেলা সর্বশেষ ছয়টি প্রস্তুতি ম্যাচের মধ্যে সবকটিতেই জয়লাভ করেছে তারা। তারা বর্তমানে বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে ইন-ফর্ম দল, এবং নিঃসন্দেহে ফিফা র্যাংকিংয়ের শীর্ষে থাকার যোগ্য দলও তারাই।

তাদের সেই সর্বশেষ ছয়টি জয়ের মধ্যে বলিভিয়া এবং চিলি ব্যতীত বাকি চারটি জয়ই এসেছে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে চলেছে এমন দলের বিপক্ষে। তিতে’র শিষ্যদের মধ্যে প্রায় সকলেই রয়েছেন রেড-হট ফর্মে এবং ফলটিতে কোনো প্রকার দুর্বল স্থান খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। দলের প্রত্যেকটি পজিশনই প্রতিভায় টইটম্বুর এবং প্রত্যেক খেলোয়াড়ই হেক্সা জয়ের জন্য ক্ষুধার্ত।

হট ফেভারিট ব্রাজিলকে রুখে দিতে রক্ষণাত্মক কৌশল নিয়ে মাঠে নামবে সার্বিয়া। অন্যদিকে, আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার লক্ষ্যে ব্রাজিলের একাদশে দেখা যেতে পারে নেইমার, রিচার্লিসন, রাফিনিয়া ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে।

সার্বিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিলের ফরোয়ার্ডরা নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারলে জয় পেতে কষ্ট হবে না ব্রাজিলের। নেইমার, ভিনিসিয়ুসরা রয়েছেন দারুণ ছন্দে। তাদের আটকাতে আলাদা পরিকল্পনা করতে হবে সার্বিয়াকে। তাছাড়া ব্রাজিলের মধ্যমাঠও এবার অন্য যেকোন বারের চেয়ে শক্তিশালী। ফলে, সার্বিয়ার বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে গোল আদায় করাই হবে নেইমারদের মূল লক্ষ্য।

ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে আসা রাফিনিয়াও ইঙ্গিত দিয়েছেন আক্রমণাত্মক ফুটবলের। তিনি বলেন, ‘ডিএনএ’র কারণেই আমরা আক্রমণাত্মক দল। আক্রমণভাগে যত বেশি খেলোয়াড় থাকে, ততই ভালো।’