ফুটবল বিশ্বকাপ চলছে কাতারে। বিশ্বকাপ ঘিরে দেশটিতে এখন অবস্থান করছেন লাখ লাখ পর্যটক। তাদের বিনোদনের জন্য নানান ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে দেশটির সরকার। এরমধ্যে রয়েছে উটের সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা।
যুগ যুগ ধরে মরুর দেশ আরবে যোগাযোগের বাহন ছিল উট। দোহা থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে এক মরুভূমিতে এই প্রতিযোগিতা হয়েছে। যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে শত শত উট।
প্রতিযোগিতার আয়োজক কাতার ক্যামেল মাজায়েন ক্লাবের লক্ষ্য হলো ফুটবল বিশ্বকাপ উপভোগ করতে আসা বিদেশি পর্যটকদের বিনোদন। এটা মধ্যপ্রাচ্যের সংস্কৃতির অংশ। এ আসরের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে দেশটির ক্রীড়া ও যুব মন্ত্রণালয়।
মাজায়েন ক্লাবের সভাপতি হামাদ জাবের আল আতবা রয়টার্সকে বলেন, ‘ধারণাটি ফুটবল বিশ্বকাপের মতোই। আমরা উটের সৌন্দর্য বিশ্বকাপ আয়োজন করেছি।’
আল আতবা জানান, এতে অংশ নেয় বিভিন্ন ধরনের উট। কালো উটগুলোকে শরীরের আকার, মাথা এবং কানের অবস্থান অনুসারে বিচার করা হয়। তবে মাগহাতের ধরনের উটের ক্ষেত্রে আমরা সমানুপাতিকতা দেখি। যেমন- কানগুলো নিচে নেমে যাওয়া, সোজা না দাঁড়িয়ে থাকা। মুখ কীভাবে বাঁকায়- তাও দেখা হয়।
প্রতিযোগিতা শুরুর আগে জালিয়াতি এড়াতে বিশেষজ্ঞরা এক্স-রে ব্যবহার করে উটগুলোকে পরীক্ষা করেন। অস্ত্রোপচার করে পশুগুলোকে উন্নত করা হয়েছে কি না তাও দেখেছেন তারা।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) শ্রেষ্ঠত্বের জন্য সৌন্দর্যের লড়াইয়ে নেমেছিল মোট ১৬টি উট। প্রতিযোগিতার ফাইনালে সেরা সুন্দরীর খেতাব জিতে ‘নাজা’ নামের একটি উট। তার আগে আরও কয়েকটি রাউন্ড পার হতে হয়েছে ‘নাজা’কে।
‘নাজা’র দেখভাল করা পরিবারের সদস্য জসিম আল কুয়ারি মজা করে বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম আমাদের উট রোনালদো-মেসির চেয়েও ভালো।’