কমিটি ঘোষণা করাকে কেন্দ্র করে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় মঞ্চ থেকে নেমে পালিয়ে এক দৌড়ে গোদাগাড়ী পৌর কার্যালয়ে ঢুকে আত্মরক্ষা করেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী। এ ঘটনায় ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল কুমার সরকার জানান, ফারুক চৌধুরী একজন সংসদ সদস্য। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের একজন সদস্য মাত্র। তিনি কোনো সাংগঠনিক নেতা নন। জেলা আওয়ামী লীগ বা সহযোগী সংগঠনের জেলা নেতৃত্বকে না জানিয়ে তিনি একের পর এক কমিটি ঘোষণা করেছেন। এটা নিয়ম না। এভাবে আওয়ামী লীগের কোনো কমিটি করা যায় না। তাকেও এসব বিষয়ে জানানো হয়নি।
বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা জানান, সাংগঠনিক নিয়মনীতি না মেনে গত কয়েকদিন ধরে এমপি ফারুক গোদাগাড়ী ও তানোরের বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভায় সম্মেলন করে একই মঞ্চ থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ছয়-সাতটি করে কমিটি ঘোষণা করে আসছেন। রোববার বিকালে গোদাগাড়ীর আফজি বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পৌর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন ডাকেন এমপি ফারুক চৌধুরী। এককভাবে তিনি সম্মেলন ডেকে কমিটি ঘোষণা করেন। এরপরই বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এসব বিষয়ে এখন কিছু বলবেন না।
গোদাগাড়ী থানার ওসি কামরুল ইসলাম গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীকে লক্ষ্য করে মঞ্চে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এই ঘটনায় ফারুক অক্ষত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ।