এস এ পরিবহনে আগুন, রাজধানী জুড়ে যানজট

রাজধানীর কাকরাইলের এসএ পরিবহন পার্সেল অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিস কার্যালয়ে সোমবার সকালে আগুন লাগে। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিটের কর্মীরা।
আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম বলেন, আমরা পটকা ধরনের কিছু জিনিস পেয়েছি, কিছু এগ্রো প্রোডাক্ট পেয়েছি, কাগজপত্র পেয়েছি। যেসব কেমিক্যাল পাওয়া গেছে সেগুলো কী ধরনের কেমিক্যাল তা আমাদের বিস্ফোরক দল এলে বলতে পারব। তিনি জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পটকা ও কেমিক্যালের কারণে অগ্নিকাণ্ডের স্থানে এখনো বিস্ফোরণ হচ্ছে।
ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনতলা ভবনটির নিচতলায় আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হই। নিচতলায় কিছু জিনিসপত্র পুড়ে গেছে। বিস্তারিত ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত করে জানাতে পারব। একটি কার্গোতে আগুন লেগেছিল। সেটিও আমরা নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। এসএ পরিবহনের ওই গোডাউনে নিজস্ব আগুন নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কি না জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, নিজস্ব আগুন নির্বাপণ ব্যবস্থা আমাদের চোখে পড়েনি। তারপরও আমরা তদন্ত করে তাদের কী সরঞ্জাম ছিল সেটা বিস্তারিত বলতে পারব।
এদিকে, এস এ পরিবহনের পার্সেল ও কুরিয়ার সার্ভিসের ভবনটিতে অগ্নিনির্বাপণের কোনো ব্যবস্থা ছিল না বলে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বলা হলেও প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালাউদ্দিন আহমেদের দাবি, তার ভবনটিতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি করেন। তিনি বলেন, ভবনটিতে কোনো বিস্ফোরক ছিল না। যেসব শব্দ শোনা গেছে সেগুলো পূজায় ফোটানোর পটকা। এস এ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ৪২ বছর ধরে ব্যবসা করছি। কিন্তু এই ভবনে কখনো আগুন লাগার ঘটনা ঘটেনি। এটা হয়তো কোনো দুর্ঘটনা অথবা ষড়যন্ত্র হতে পারে। বিষয়টি বিভাগীয় তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে। সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রতিটি জিনিস চেক করে পাঠানো হয়। এখানে কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য ছিল না। তবে মধু থেকেও আগুন লাগতে পারে। বুকিং দেয়া যাদের মালামাল পুড়ে গেছে তাদের ক্ষতিপূরণ দেবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগে দেখি কেমন ক্ষয়ক্ষতি হলো।
এদিকে, আগুনের ঘটনায় মালিবাগ-কাকরাইল ও মৌচাক সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে আশপাশের সড়কে তীব্র যানজট দেখা দেয়। ফলে বেইলি রোড, রাজারবাগ, মালিবাগ মোড়, মালিবাগ-কাকরাইল ও মগবাজারের ওয়ারলেস সড়কে তীব্র যানজট দেখা দেয়। পরে শান্তিনগর মোড় ও কাকরাইলের মাঝামাঝি ইনকামিং সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয় পুলিশ।