দৈনিক ৫০ কোটি লিটার শোধন ক্ষমতা সম্পন্ন পরিবেশবান্ধব ঢাকায় দাশেরকান্দি স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের (পয়ঃশোধনাগার) কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দক্ষিণ এশিয়ায় এটি সর্ববৃহৎ সমন্বিত পয়ঃশোধনাগার। যা রাজধানীর আশপাশের নদীগুলোকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা ওয়াসার ‘দাসেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার’ প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়। একই অনুষ্ঠানে থেকে তিনি পাগলা পয়ঃশোধনাগারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
রাজধানীর আশপাশের নদী ও জলাধারগুলোকে দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে এরকম আরো চারটি পয়ঃশোধনাগার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা ওয়াসা। আফতাবনগরের দাসেরকান্দিতে বাস্তবায়িত পয়:শোধনাগারে একই সঙ্গে পরিবেশবান্ধব সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে। পয়:বর্জ্য শোধনের পর এর পানি পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে বালু নদীতে। আর সলিড বর্জ্য পরিবেশ সম্মত উপায়ে পুড়িয়ে ছাই বানিয়ে সিমেন্ট কারখানায় দেয়া হয়।
রাজধানীর আফতাবনগরে বালু নদীর তীরে প্রায় ৬২ একর জায়গা জুড়ে নির্মিত অত্যাধুনিক এই শোধনাগারটি দেশের পয়ঃশোধন খাতে একটি মাইল ফলক প্রকল্প। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে তিন হাজার ৪৮২ কোটি টাকা।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, রাজধানীতে দৈনিক প্রায় ২০০ কোটি (২০০০ মিলিয়ন) লিটার পয়ঃ বর্জ্য উৎপন্ন হয়। যার মধ্যে প্রায় ২০-২৫ শতাংশ পয়ঃ শোধন করতে সক্ষম এই দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার।
দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগারের মাধ্যমে বর্তমানে মগবাজার, ওয়ারলেস রোড, ইস্কাটন, নয়াটোলা, মৌচাক, আউটার সার্কুলার রোড, নয়াটোলা, মহানগর হাউজিং, উলন ও তৎসংলগ্ন এলাকা, কলাবাগান ও ধানমন্ডির (পূর্বাংশ), তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, তেজগাঁও এলাকা, নাখালপাড়া, নিকেতন, বাড্ডা, বনানী ও গুলশান (আংশিক) এলাকার পয়ঃ বর্জ্য পরিশোধন করা হচ্ছে। ঢাকার অন্য পয়ঃশোধনাগারগুলো নির্মাণ হলে এসব এলাকা থেকে বেশ কিছু এলাকা সংযোজন ও বিয়োজন করা হবে।
এমএইচএফ