এবার সংসদ সদস্য হতে চান এম এ সালাম
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদকে স্বনির্ভর করেছি
দু’বার প্রশাসক ও একবার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করা এম এ সালাম এবার সংসদ সদস্য হতে চান। রোববার (২৩ অক্টোবর) জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে শেষ কর্মদিবসে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি তাঁর এ ইচ্ছার কথা ব্যক্ত করেন।
২০০৮ সালে মনোনয়ন পেয়েও বঞ্চিত হওয়া এম এ সালাম বলেন, শেষ বয়সে আমার হাটহাজারীবাসীর জন্য কাজ করতে চাই। যদিও জেলা পরিষদের দায়িত্ব পালনকালে সকল উপজেলায় কাজ করেছি। তবে শেষ বয়সে এসে নিজ এলাকার জন্য কাজ করতে চাই, সংসদে গিয়ে তাদের কথা বলতে চাই।
এম এ সালাম বলেছেন, চট্টগ্রাম পরিষদের প্রশাসক, পরবর্তী চেয়ারম্যান, আবার প্রশাসক হিসাবে দীর্ঘ দায়িত্ব পালন করেছি। আমার দায়িত্বকালীন সময়ে এই জেলা পরিষদকে একটি স্বনির্ভর ও আত্মনির্ভরশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলেছি। জেলা পরিষদ এক সময় যে বরাদ্ধ পেতো সরকার থেকে, এখন সেই বাজেটের চেয়ে বেশি সরকারকে রাজস্ব দিচ্ছে।
জেলা পরিষদের প্রশাসক এম এ সালাম বলেন, দেশের অন্য জেলা পরিষদ যেখানে স্টাফদের বেতন দিতে পারছে না, সেখানে আমরা নিজেদের আত্মনির্ভরশীল হিসেবে গড়ে তুলেছি, শুধুু সকলের সহযোগিতার মাধ্যমে এবং সততার কারণে। ফেনী জেলা আমাদের ফটিকছড়ির আয়তনে, আর তাদের স্টাফ যত আমাদেরও স্টাফ তত।
কিন্তু চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ ১৫টি উপজেলা নিয়েই গঠিত। আমাদের আয়তন বেশি হলেও যখন দায়িত্ব নিয়েছি, তখন সেভাবে কোন ফান্ড ছিল না। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর অবৈধ জমি, জায়গা ও ভবন যেসব দখলদাররা দখল করে রেখেছিল তা উচ্ছেদ করে আয়ের পথ বের করেছি।
ঢাকায় যখন কোনো মিটিং এ যায় তখন অন্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা জানতে চান, সালাম ভাই আপনি কি টাকার মেশিন বানাইলেন নাকি চট্টগ্রামে? আমরা যেখানে বেতন দিতে স্টাফদের হিমশিম খাচ্ছি, সেখানে আপনি কিভাবে এত বড় বড় ভবন করছেন।
তাদের বলেছি, নেত্রী যে দাায়িত্ব দিয়েছেন তা সততা ও পবিত্রতার সাথে পালন করেছি। রাত-দিন কাজ করেছি আমি ও আমার সহকর্মীরা। এমনকি কোন কোন সময়ে শুক্র-শনিবারও আমরা কাজ করেছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম বলেন, যে দায়িত্ব দিয়েছেন নেত্রী, সেটা আমি সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করেছি। কোন সময়ে কোনো পদ-পদবীর জন্য দৌড়াইনি বা আমি কি হবো, কি পেয়েছি তার হিসাব করিনি।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্য্যাান ও জেলা প্রশাসক হিসাবে দাায়িত্ব পালনকালে সকল এলাকায় সমানভাবে উন্নয়ন কাজ বন্টন করেছি। কোনো সদস্য, বা কোনো সংংসদ সদস্যের সাথে কোন বিরোধ হয়নি।
তিনি বলেন, আমি গর্ববোধ করি আওয়ামী লীগের কর্মী পরিচয় দিতে। গর্ব করি আওয়ামী রাজনীতি করি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করি, স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বধানকারী দলের রাজনীতি করছি। রাজনীতি করছি, আগামীতেও নেত্রীর নির্দেশনায় কাজ করবো।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী সাব্বির ইকবাল, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুুরী ফরিদ, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বেদারুল আলম বেদার, জেলা পরিষদ প্রশাসকের পিএস নেতা রিয়াজুুর রহমান চৌধুুরী।