রাজশাহী শিশু হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে এক বছর আগে। হাসপাতালটির উদ্বোধন হয়েছে নয় মাস হলো। তবে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় এখনও চালু হয়নি হাসপাতালটি। এটির দায়িত্ব গণপূর্ত অধিদপ্তরের কাছ থেকে কে বুঝে নেবে, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা। সংকট নিরসনে মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ চান সংশ্লিষ্টরা। ২০১৮ সালে রাজশাহী শিশু হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শেষ হবার কথা থাকলেও শেষ হয় ২০২২ সালে। এর পর এ বছরের ২৯ জানুয়ারি এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের নয় মাস কেটে গেলেও আলোর মুখ দেখেনি প্রতিষ্ঠানটি। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ২০০ শয্যার বিশেষায়িত এই হাসপাতালটি হস্তান্তর করতে পারছে না গণপূর্ত বিভাগ। এটির দায়িত্ব স্বাস্থ্য অধিদপ্তর না রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বুঝে নেবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা। সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। রাজশাহী গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম খান জানান, ‘হাসপাতালটি হস্তান্তরের বিষয়টি আমাদের বিষয় নয়, এটি এখানকার মেডিকেল ডিরেক্টরদের বিষয়। দিকে ধারণ ক্ষমতার চার গুন বেশি শিশু রোগী সামলাতে যেখানে হিমশিম খাচ্ছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সেখানে বিশেষায়িত শিশু হাসপাতালটি চালু না হওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক বলছেন চিকিৎসক থেকে শুরু করে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। রাজশাহী মেডিকেলের শিশু বিভাগের অধ্যাপক শাহিদা ইয়াসমিন জানান, ‘আমাদের হাসপাতালে অনেক শিশুকেই আমরা বেড দিতে পারছি না। শিশু হাসপাতালটি চালু হলে রোগী ভাগ হয়ে যাবে। এতে করে সেবার মানও ঠিক রাখা যাবে।’ রাজশাহী সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সমন্বয়ক মিজানুর রহমান বলেন, রাজশাহী কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিলে হাসপাতাল চালু হওয়ার বিষয়টি দ্রুত কার্যকর হবে। ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত শিশু হাসপাতালটি বর্তমানে পড়ে আছে অবহেলায়। রাজশাহী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক আনোয়ারুল কবীর বলছেন, বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে।