আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঈদযাত্রা ও কুরবানির পশুর হাট নিয়ে ২৪টি নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। রাজধানীবাসীকে এসব নির্দেশনা মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
ডিএমপি জানায়, প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে অনেকেই ঢাকা ছেড়েছেন। কেউ আবার ছাড়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন অথবা পরিকল্পনা করছেন। পবিত্র ঈদুল আজহায় মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন ও আনন্দময় করতে তাই নিচের নির্দেশনাগুলো দেওয়া হলো।
নির্দেশনাগুলো হচ্ছে-
হাটে ট্রাক থেকে গরু নামানোর এবং বিক্রির সময়ে সংশ্লিষ্ট সড়ক-মহাসড়কের ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট যেন ব্যাহত না হয়, নৌপথে ট্রলারের মাধ্যমে রাজধানীতে আসা কুরবানির পশু যেন সুশৃঙ্খলভাবে নির্ধারিত হাটে যেতে পারে সে বিষয়ে যথাযথ নজরদারি রাখা। গরুর হাটকেন্দ্রিক স্বাচ্ছন্দ্য যাতায়াতের জন্য পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। যত্রতত্র যেন কুরবানির পশুর হাট না বসে এবং ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সঠিক থাকে তা নিশ্চিত করা। পশুবাহী গাড়িগুলো অবশ্যই সিটি করপোরেশন অনুমোদিত হাটের ভেতর লোড-আনলোড করতে হবে। গরুর হাটকেন্দ্রিক সুষ্ঠু ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশন, হাট ইজারাদার, পরিবহন মালিক, শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা হবে।
টার্মিনাল ও পশুর হাটকেন্দ্রিক সঠিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা। টার্মিনালকেন্দ্রিক যাত্রী ওঠানামা টার্মিনালের ভেতর থেকেই করা হবে। যাত্রী পরিবহণ ও পশুবহনকারী গাড়ির চলাচল সুশৃঙ্খল করার জন্য ঢাকা মহানগরীর এন্ট্রি/এক্সিট পয়েন্টে ইনকামিং/আউটগোয়িং রোডে সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিবহণ চালনা করা।
ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার যানবাহনগুলোকে অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন থেকে নিবৃত থাকতে হবে। আন্তঃজেলা পরিবহণের যাত্রী বা গমনপ্রত্যাশীদের প্রধান সড়কে এসে অপেক্ষা বা দাঁড়িয়ে না থেকে টার্মিনালের ভেতরে অবস্থানের জন্য আহ্বান করা হলো। সংশ্লিষ্ট যাত্রীরা অবশ্যই যানবাহনে টিকিট বহন করবেন। কোনো যানবাহনেই ছাদের ওপর অতিরিক্ত যাত্রী বহন করবে না।
যাত্রী তোলার ক্ষেত্রে বাসচালকরা এমন কোনো অসম প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন না যেন সড়কের শৃঙ্খলা বিঘ্নঘটে ও জীবনহানির আশঙ্কা থাকে। টার্মিনালভিত্তিক কাউন্টারগুলোতে ভাড়ার চার্ট প্রদর্শন করতে হবে। ঈদের আগের তিন দিন কোনো ভারি যানবাহন যেন ঢাকায় প্রবেশ না করে সে বিষয়ে দৃষ্টি আরোপ করা। ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ রেলস্টেশন এবং বিমানবন্দরকেন্দ্রিক রুটগুলো চলাচল উপযোগী রাখতে সচেষ্ট থাকা। জনগণ যেন যাত্রাপথে অপরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে কোনো খাদ্য বা পানীয় গ্রহণ না করে সে বিষয়ে সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা। যাত্রাপথে জনগণের ব্যক্তিগত মালামাল ও অর্থ যেন সাবধানে রাখে সে বিষয়ে তাদের সচেতন করা।
মোটরসাইকেলচালক ও আরোহীদের ঢাকার বাইরে দূরপাল্লার যাতায়াতের সময় অবশ্যই হেলমেট পরিধান করতে হবে। ঈদের আগে-পরে ফাঁকা রাস্তায় ওভারস্পিড প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ঈদ ঘিরে বিনোদনকেন্দ্রিক রুটগুলোর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সঠিক রাখতে সচেষ্ট থাকা। আনফিট/রুট পারমিটবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চলমান আছে, থাকবে। প্রধান প্রধান ঈদ জামাতকেন্দ্রিক ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সচল রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ছাড়া প্রয়োজনে ট্রাফিক কন্ট্রোলরুম ০১৭১১-০০০৯৯০ অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করার জন্যও অনুরোধ জানিয়েছে ডিএমপি।
এমএইচএফ