ঈদের দ্বিতীয় দিন আজও দেশের প্রধান শহরগুলোর রেলস্টেশনগুলোতে ঘরমুখো মানুষের ঢল দেখা গেছে। পরের দিনই সরগরম হয়ে উঠেছে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন। বাড়ি ফিরতে ট্রেনগুলোতে ছিল ঘরমুখো মানুষের ঢল।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকাল থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে ১৪টি ট্রেন। এসব ট্রেনে নির্ধারিত সিটের বাইরে স্ট্যান্ডিং টিকিট কেটেও বিপুলসংখ্যক যাত্রীকে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে।
এদিন সকালে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, স্টেশনে যাত্রী নিয়ে ছুটে চলার জন্যে অপেক্ষা করছিল সিলেটগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, তারাকান্দিগামী অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, খুলনাগামী নকশীকাঁথা এক্সপ্রেস ও রাজশাহীগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস।
প্রতিটি ট্রেনেই ছিল উপচে পড়া ভিড়। সিলেটে বাড়ির উদ্দেশ্য পরিবার নিয়ে যাচ্ছিলেন সম্রাট হোসেন। স্ত্রী-কন্যাকে নিয়ে কমলাপুর স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন তিনি।
সম্রাট হোসেন বলেন, আমি কাপড়ের ব্যবসা করি। চাঁদরাত পর্যন্ত দোকানে বেচাকেনা করেছি। আজ বাড়ি ফিরছি, কয়েকদিন থাকবো।
তার মেয়ে সারা হোসেন বলেন, গ্রামে দাদাবাড়ি গিয়ে ঘুরতে ভালো লাগে। অনেক আনন্দ হচ্ছে বাড়িতে ভাইয়া-আপুদের সঙ্গে খেলতে পারবো।
এদিকে সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাঁচটি ট্রেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে ফিরেছে। যমুনা, ঢাকা মেইল, নকশীকাঁথা এক্সপ্রেসসহ এসব ট্রেনে ঢাকা ফিরতে শুরু করেছেন যাত্রী। তবে খুব বেশি চাপ ছিল না।
শাহ আলম নামে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মজীবী যাত্রী বলেন, এবার ঈদের আগে অনেকদিন ছুটি থাকায় আগে আগেই বাড়ি ফিরেছি। ঢাকায় কিছু কাজ আছে বলে সকালের ট্রেনে ঢাকা ফিরলাম।