কক্সবাজার -চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঈদগাঁও গরুর বাজারে জন ভোগান্তি ও যান চলাচলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। মহাসড়কের জমি দখল করায় এবং অপরিকল্পিত ড্রেন নির্মাণ করার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগে জানা গেছে, মহাসড়কের গরুর বাজারের জাগির পাড়া বাই রোড সংলগ্ন নির্মিত ড্রেনটি এখন জনগণের পথের কাঁটা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। মহাসড়কের জন্য চলাচলের ফুটপাতের জমি দখল করায় জনভোগান্তি আরো বেড়েছে। এতে স্বাভাবিক গাড়ি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
ফুটপাত দখল এবং মহাসড়কের সাথে লাগোয়া ড্রেন নির্মাণের কারণে তিন চাকা বিশিষ্ট যানবাহনগুলোকে ডানে-বায়ে মোড় নিতে তীব্র অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। মোড় নিতে হলে সরাসরি হাইওয়েতে গিয়ে নিতে হয়। অথবা বাই রোডের ২/৩ হাত পেছনে এসে মোড় পরিবর্তন করতে হয়। ড্রেনের উত্তর পাশে যে জমি আছে তা সড়ক বিভাগের অধিগ্রহণকৃত জমি। যা জন চলাচলের ফুটপাত। কিন্তু এখন তা পার্শ্ববর্তী ভবন মালিক দখল করে উঠান হিসাবে ব্যবহার করছে আল-হারমাইন নামের একটি বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান।
দেখা গেছে, ড্রেনের পাশের খালি জায়গা এখন যেন হাসপাতালের আঙ্গিনা। হাসপাতালে আগতদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য এটি ভরাট করে ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করা হচ্ছে। এখন তা জনচলাচলের ফুটপাত হিসেবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। ড্রেনের পাশে টাঙ্গানো হয়েছে হাসপাতাল ও তেল বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড।
ফুটপাত দখল, সাইনবোর্ড স্থাপন, অপরিকল্পিত ড্রেন নির্মাণ, তাতে ঢাক ব্যবহার না করা এবং ড্রেনটি মহাসড়ক থেকে দুই/ তিন হাত বাই রোডে না হওয়ায় সড়ক ব্যবহারকারী লোকজনকে প্রতিনিয়ত পোহাতে হচ্ছে নানা দুর্ভোগ। মোটরসাইকেল এবং তিন চাকা বিশিষ্ট যানবাহন চালকরা বাই রোডে গিয়ে মোড় ঘুরাতে পারছে না। দুই/ তিন হাত পেছনে এসে তাদের মোড় ঘুরাতে বাধ্য হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছেন, ড্রেনটি বাই রোডের কয়েক হাত ভেতরে নির্মিত হলে যানবাহন পরিচালনায় কোন অসুবিধা হতো না। ড্রেন আরো নিচে করা দরকার ছিল। মহাসড়কের সাথে লাগানো হওয়ায় জনগণ সুফলের পরিবর্তে কুফলই ভোগ করছেন। ঢাকনা না দেয়ায় যানবাহন গুলো মোড নিতে পারছে না। গাড়ি ঘুরানো যায় না। বিশ্বরোডে উঠে গাড়ি ঘুরাতে গেলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে।
সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজনরা জানান, ভবন মালিক সড়ক বিভাগের জমি দখল করায় জনগণ ফুটপাত সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাদের মতে, এ ড্রেন দিয়ে গরুর বাজার এলাকার যাবতীয় পানি নিষ্কাষিত হয়। ড্রেনটিতে বর্তমানে কোন ঢাকনা নেই। পথচারী এবং যানবাহন সংশ্লিষ্টদের বিশ্বরোডে উঠে দিক পরিবর্তন করতে হয়। এতে তাদের জীবনে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থেকেই যায়। সরকারের অধিগ্রহণকৃত জমি ভবন মালিকের দখলে চলে যাওয়ায় পথচারীদের চলাচল সংকুচিত হয়ে গেছে। মূল সড়কের বিটুমিনের শেষ সীমানা থেকে জমি দখল হয়ে গেছে। যা ভরাট করে উঠান বানিয়ে ফেলা হয়েছে। অপরিকল্পিত নির্মাণ কাজ এবং দখলবাজির কারণে এখন জনস্বার্থ চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।
কক্সবাজার সদর উপজেলা স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রকৌশলী ও ঈদগাঁও উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্বরত কর্মকর্তা মোঃ তৌহিদ জানান, মহাসড়কে স্থানীয় সরকার বিভাগের কোন কার্যক্রম নেই। এগুলো দেখভাল করে রোডস এন্ড হাইওয়ে।
কক্সবাজার সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শাহে আরেফিন জানান, সড়ক বা মহাসড়কে অধিগ্রহণকৃত জমির শেষ সীমানা থেকে ৩৩ ফুট অর্থাৎ ১০ মিটারের ভেতরে ব্যক্তি মালিকানাধীন স্থাপনা নির্মাণে সরকারি নিষেধ রয়েছে। তবে দূরত্বের বিষয়ে স্থান ভেদে ভিন্নতাও আছে। এটা একেক এলাকায় একেক রকম হয়ে থাকে। মোট কথা এটা স্থানের উপরই নির্ভর করে।