গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় সামের আবুদাকা নামের আল-জাজিরা আরবির এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। তিনি ক্যামেরাম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আল-জাজিরা আরবির গাজা ব্যুরোর প্রধান ওয়ায়েল দাহদুহ।শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আলজাজিরা কর্তৃপক্ষ।
গতকাল শুক্রবার দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় আবুদাকাকে নিয়ে সেখানকার ফারহানা স্কুল থেকে ইসরায়েলি হামলার সংবাদ প্রচার করছিলেন দাহদুহ।
খান ইউনিসের ফারহানা স্কুল নামের যে স্কুলটিতে সংবাদ সংগ্রহের জন্য গিয়েছিলেন আলজাজিরা অ্যারাবিকের ওয়ায়েল এবং সামের, ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান শুরুর পর থেকে সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন ঘর-বাড়ি হারানো ফিলিস্তিনিরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সে সময় ওই এলাকায় ব্যাপক গোলা বর্ষণ করছিল ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। গোলার আঘাতে আহত হন ওয়ায়েল এবং সামের উভয়েই, তবে সামেরের আঘাত বেশি গুরুতর ছিল।
আলজাজিরার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায় দীর্ঘসময় চিকিৎসা সেবা পাননি সামের। পরে অ্যাম্বুলেন্স এলেও সামেরকে আর বাঁচানো যায়নি। তার আগেই মৃত্যু হয়েছিল তার।
‘অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশে ইসরায়েলি বাহিনীর নিষেধাজ্ঞার জেরে আহত হওয়ার পর পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সেখানে পড়েছিলেন সামের। ব্যাপক রক্তপাতের কারণে মৃত্যু হয়েছে তার,’ বিবৃতিতে বলেছে আলজাজিরা।
তার সঙ্গী ওয়ায়েল আল দাহদুহ অবশ্য বর্তমানে বিপদমুক্ত রয়েছেন। হামলার পর লোকজন তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে চিকিৎসা নেন তিনি।
গত মাসে গাজায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর গোলা বর্ষণে ওয়ায়েল আল দাহদুহ’র স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে এবং নাতি নিহত হয়। ওই সময় সংবাদ সংগ্রহের কাজে গাজার অন্যপ্রান্তে ছিলেন ওয়ায়েল। টেলিভিশনে লাইভে সংবাদ পরিবেশনের সময় তার কাছে এই খবর পৌঁছেছিল। তারপর থেকেই পুরো মধ্যপ্রাচ্যে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন ওয়ায়েল।
গতকালের এই হামলা সম্পর্কে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
সূত্র : রয়টার্স