‘ন্যাটো’র অস্ত্রভান্ডার ফুরিয়ে আসছে: মহাসচিব

ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা প্রদানের জেরে ন্যাটোর অস্ত্রভান্ডার ফুরিয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন, ন্যাটোর মহাসচিব জিনস স্টলটেনবার্গ। সোমবার (১৯ জুন) জার্মানিতে এক শিল্পোৎপাদন সংক্রান্ত এক সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘আমরা ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছি, যতদিন যুদ্ধ শেষ না হয়— ততদিন পর্যন্ত এই ধারা অব্যাহত থাকবে।’

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সামরিক জোট নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অ্যালায়েন্সের (ন্যাটো) মহাসচিব বলেন,‘তবে আমাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদের মজুত ফুরিয়ে আসছে। এই ঘাটতি পূরণের জন্য আমাদের প্রতিরক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত শক্তিশালী শিল্পভিত্তি প্রয়োজন এবং কেবল জার্মানিতেই নয়, ন্যাটোর বিভিন্ন সদস্যরাষ্ট্রেও সামরিক সরঞ্জাম ও গোলাবারুদ উৎপাদনকারী শিল্প কারখানা থাকা জরুরি।’

গত সপ্তাহে সামরিক উপকরণ ও অস্ত্র উৎপাদনকারী বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে ন্যাটোর বৈঠক হয়েছে এবং কীভাবে এসব উপকরণের উৎপাদন বাড়ানো যায়— তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্টলটেনবার্গ।

সম্মেলনে ন্যাটো মহাসচিব বলেন, ‘রুশ বাহিনীর সঙ্গে চলমান এই যুদ্ধে একমাত্র ইউক্রেনের বিজয়ের মাধ্যমেই সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। গত সপ্তাহে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। আমাদের অস্ত্র সরবরাহ ছাড়া এটা সম্ভব হতো। অবশ্য হামলায় ইউক্রেনীয় বাহিনীর অনেক সদস্য নিহতও হয়েছেন।’

ইউক্রেনকে নিয়মিত সামরিক ও অর্থসহায়তা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যরাষ্ট্রগুলো। ন্যাটোর তথ্য অনুযায়ী গত প্রায় দেড় বছরে ১ হাজার কোটি ডলার সমসূল্যের অস্ত্র, সামরিক সরঞ্জাম ও গোলবারুদ কিয়েভকে প্রদান করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা।

অস্ত্র সহায়তার পাশাপাশি ইউক্রেনীয় বাহিনীকে যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালিসহ ন্যাটোর অন্যান্য সদস্যরাষ্ট্রে সামরিক প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে। ন্যাটোর তত্ত্বাবধানেই চলছে এসব প্রশিক্ষণ শিবির। তবে যুদ্ধের গত দেড় বছরের বিভিন্ন সময়ে কিয়েভ বলেছে, প্রয়োজনের তুলনায় ন্যাটোর অস্ত্র সরবরাহ কম।