এবারের নারী বিশ্বকাপের আয়োজক বাংলাদেশ। সব ঠিক থাকলে ঘরের মাঠেই বিশ্বকাপে মাঠে নামার কথা ছিল নিগার সুলতানা জ্যোতির দলের। যদিও রাজনৈতিক অস্থিরতায় শেষ পর্যন্ত সেটি সম্ভব হয়নি। তবে আয়োজকস্বত্ব হারায়নি বাংলাদেশ। স্বাগতিক না হলেও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ‘আয়োজক’ হিসেবেই বিশ্বকাপ শুরু করবে বাংলাদেশ। নারী বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই মাঠে নামবে জ্যোতিরা।
এবারের বিশ্বকাপে দারুণ কিছুর স্বপ্নই দেখছে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী ম্যাচেই দারুণ কিছু করে দেখাতে চায় জ্যোতিরা। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হবে স্কটল্যান্ড। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায়। এরপর এই টুর্নামেন্ট শেষ হবে আগামী ২০ অক্টোবর ফাইনালের মধ্যে দিয়ে।
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ইতিহাসের হাতছানি আছে বাংলাদেশের সামনে। কেননা, ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে নামে বাংলাদেশ। সেই আসরে দুটি জয় পেলেও এরপর খেলা চার বিশ্বকাপে টানা ১৬টি ম্যাচের একটিতেও জিততে পারেনি বাংলাদেশের। ফলে প্রথম জয়ের খুঁজে আছে জ্যোতির দল।
এবারের বিশ্বকাপে ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশ। যেখানে তাদের বাকি প্রতিপক্ষ সাবেক দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিশালী দল। তবে সাহস রাখছেন জ্যোতি।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে গতকাল অধিনায়ক জ্যোতির কণ্ঠেও ছিল ইতিহাস বদলানোর প্রত্যয়, ‘২০১৪ সাল ছাড়া বিশ্বকাপে তো আমাদের বলার মতো কিছু নেই। তাই এই বিশ্বকাপটা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চাই এমন কিছু করতে, যাতে এই বিশ্বকাপটার কথা মনে থাকে।’
শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানকে হারানোর পর দল নিয়ে আত্মবিশ্বাস আরও বেড়েছে নিগারের, ‘স্কটল্যান্ডকে হারিয়েই শুরু করতে চাই। সর্বশেষ প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে যেভাবে সবাই খেলেছে, সবার মধ্যে ম্যাচ জয়ের যে ক্ষুধা দেখেছি, ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন বিভাগেই ভালো খেলেছে সবাই। তাই বলব, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয় দিয়ে শুরু করতে আমরা প্রস্তুত।’
২০১৫ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন নিগার। ৯ বছর পর শততম ম্যাচ খেলবেন। দারুণ কিছু করেই উপলক্ষটা রাঙাতে চান তিনি, ‘বিশ্বাসই হচ্ছে না ১০০তম ম্যাচ খেলতে যাচ্ছি। মনে হয়, এই তো শুরু করলাম! সবচেয়ে বেশি খুশি হব ১০০তম ম্যাচে ভালো কিছু করে দলের জয়ে অবদান রাখতে পারলে।’