আমিই সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি, সরে দাঁড়ানোর প্রশ্নই ওঠে না : বাইডেন

চলতি বছরের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। চার বছর আগের মতো এবারের নির্বাচনেরও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে থাকছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তবে সম্প্রতি নিজের দুর্বল বিতর্কের জন্য ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন বাইডেন। নির্বাচনী দৌড় থেকে সরে যেতে তার ওপর চাপ কার্যত বেড়েই চলেছে। এমন অবস্থায় নিজের প্রার্থিতার বিষয়ে জোরালো ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক এই প্রেসিডেন্ট।

তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনের জন্য তিনিই সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি। এমনকি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর প্রশ্নই নেই বলেও মন্তব্য করেছেন বর্তমান মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট। শুক্রবার (১২ জুলাই) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি এবং সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদের প্রার্থিতা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে নিজের দলের মধ্যে থেকেই ক্রমবর্ধমান আহ্বানের মুখোমুখি হয়েছেন জো বাইডেন। আর এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তিনিই ‘সবচেয়ে যোগ্য’ আমেরিকান।

বাইডেন বলেন, ‘আমি মনে করি, প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আমি সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি। আমি তাকে (ডোনাল্ড ট্রাম্প) একবার পরাজিত করেছি এবং আমি আবারও তাকে পরাজিত করব।’

ওয়াশিংটনে সামরিক জোট ন্যাটোর সম্মেলনের শেষ দিনে মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘উত্তরাধিকারের কথা ভেবে এই নির্বাচনে আমি লড়ছি না। যে কাজ শুরু করেছিলাম, তা শেষ করার জন্য এই নির্বাচনে আমাকে লড়তে হবে। কাজের গতি কমে গেছে বলে আমি মনে করি না।’

মূলত মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন চ্যানেলে কিছুদিন আগেই সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন জো বাইডেন। সেই বিতর্কে শারীরিকভাবে যথেষ্ট ভালো অবস্থায় ছিলেন না বাইডেন। উত্তর দিতে দিতে কথার খেই হারিয়ে ফেলেছেন। এমনকি বিতর্কের মধ্যেই কার্যত ঘুমিয়েও পড়েছিলেন তিনি।

পরে বাইডেন জানান, টানা বিদেশ ভ্রমণ ও দীর্ঘ সফরের কারণেই ওই দিন তিনি খুব দুর্বল ছিলেন।

কিন্তু বিতর্কে বাইডেনের দুর্বল পারফরম্যান্স দেখে ডেমোক্র্যাটদের একাংশও তার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। বলা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড় থেকে বাইডেনের এখনই সরে দাঁড়ানো উচিত। আগামী চার বছর তিনি সুস্থভাবে সরকার চালাতে পারবেন না।

এছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার অন্যতম বিষয়ও হচ্ছে- বাইডেনের বয়স এবং শারীরিক অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে বাইডেনকে বার বার এই প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। বৃহস্পতিবারও তার অন্যথা হয়নি।

ন্যাটো সম্মেলনের শেষ দিন সাংবাদিকের সামনেও এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে বাইডেনকে। সেখানে তিনি বলেছেন, সরে দাঁড়ানোর প্রশ্নই ওঠে না। যে কাজ তিনি শুরু করেছেন, সে কাজ শেষ করতে হবে তাকে। নাহলে যে আমেরিকার স্বপ্ন তিনি দেখিয়েছেন, তা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।
একইসঙ্গে শারীরিকভাবে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন বলেও জানিয়েছেন মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক এই প্রেসিডেন্ট।