আজ যুবলীগের মহাসমাবেশ, যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষে সংগঠনটি আজ শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের আয়োজন করেছে।  আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।  কোভিড মহামারি শুরুর পর এই প্রথম শেখ হাসিনা সরাসরি দলীয় কোনো সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন।

সারা দেশ থেকে যুবলীগের নেতাকর্মীরা এই মহাসমাবেশে যোগ দেবেন।  সমাবেশ থেকে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুবলীগের নেতাকর্মীদের সহিংসতা ও নাশকতার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বার্তা দেবেন বলে জানিয়েছেন যুবলীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা।

মহাসমাবেশকে ঘিরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে।  সড়কগুলোর দুই পাশে জাতীয় ও যুবলীগের পতাকা দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে।  সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন মঞ্চ ও প্যান্ডেল।  যুব মহাসমাবেশে ১০ লাখের বেশি লোকসমাগমের লক্ষ্য নিয়েছে যুবলীগ।  যুবলীগ ছাড়াও অন্যান্য বন্ধু ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন।

আজ বেলা আড়াইটায় এ মহাসমাবেশ শুরু হবে।  মহাসমাবেশে যোগ দিতে সকাল থেকে যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা রাজধানীতে খণ্ড খণ্ড মিছিল বের করে।  ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানে মুখরিত হয় রাজপথ।  বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। মহাসমাবেশকে সফল করতে মোট ১০টি উপকমিটি করার কথা জানানো হয়েছে।  সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশস্থলে প্রবেশের জন্য পাঁচটি গেট করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) থেকেই উদ্যানে প্রবেশের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।  টিএসসির পাশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশপথসহ একাধিক প্রবেশপথে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে মানুষের অবাধ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।  জনসমাবেশে যেন কোনো ধরনের সমস্যার সৃষ্টি না হয় সে জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘিরে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে।

এছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।  আশপাশের ১১টি পয়েন্টে রাস্তা বন্ধ থাকবে।  এসব এলাকা দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনকে বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করতে হবে।

মহাসমাবেশকে দৃষ্টিনন্দন করতে যুবলীগের উদ্যোগে নানা রঙের টুপি-গেঞ্জি তৈরি করে তা বিভিন্ন ইউনিটে বিতরণ করা হয়েছে।

যুব মহাসমাবেশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান জনসমুদ্রে পরিণত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম যুব সংগঠন আওয়ামী যুবলীগ দেশের যে কোনো সংকটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

তিনি জানান, যুবলীগের নেতাকর্মীরা ১১ নভেম্বরের পর থেকে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসরদের যে কোনো ধরনের নৈরাজ্য মোকাবিলায় রাজপথে থাকবে।