হজের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হচ্ছে আজ। তবে, বাংলাদেশে প্রথম হজ ফ্লাইটটি অবতরণ করবে সোমবার (০৩ জুলাই)। রোববার (০২ জুলাই) রাত থেকে হাজিদের নিয়ে ফিরতি ফ্লাইট ছাড়তে শুরু করবে। সোমবার ভোর ৬টা ৫ মিনিটে হাজিদের নিয়ে প্রথম ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরণ করবে।
হজযাত্রী বহনকারী এয়ারলাইন্স, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, হজ অফিসের বরাত দিয়ে হজ পোর্টালে জানানো হয়েছে, ২ জুলাই হজের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হয়ে চলবে ২ আগস্ট পর্যন্ত।
গত ২৭ জুন মঙ্গলবার পালিত হয় পবিত্র হজ। এরপর শুক্রবার শেষ হয়েছে হজের আনুষ্ঠানিকতা। যারা আগে মদিনায় যাননি তারা এখন মদিনায় যাচ্ছেন। আর যারা আগে মদিনা পর্ব সম্পন্ন করেছেন তারা এবার দেশে ফিরবেন। এর আগে সবাই বিদায়ি তওয়াফ সম্পন্ন করবেন, যা হজের সর্বশেষ আনুষ্ঠানিকতা।
চলতি বছর ৩২৫টি ফ্লাইটে মোট এক লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ জন বাংলাদেশি হজের উদ্দেশে সৌদি আরবে গেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ১৫৯টি ফ্লাইটে ৬১ হাজার ১৮০ জন হজযাত্রী; সৌদি এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ১১৩টি ফ্লাইটে ৪১ হাজার ৪৬৮ জন হজযাত্রী এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ৫৩টি ফ্লাইটে ২০ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী।
গত ২১ মে হজ ফ্লাইট শুরু হয়। শেষ হয় ২৪ জুন। চলতি বছর হজে এখন পর্যন্ত ৫১ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া অতিরিক্ত গরমে অনেকেই হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হন।
এদিকে হাজিদের সৌদিতে জমজমের পানি না কেনার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে হাজিদের বহনকারী তিনটি এয়ারলাইন্স। ঢাকায় হযরত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রত্যেক হাজি পাঁচ লিটার করে জমজমের পানি পাবেন। ঢাকা ছাড়া চট্টগ্রাম অথবা সিলেট বিমানবন্দরে একইভাবে জমজমের পানি পাবেন হাজিরা।
জমজম কূপ হলো মক্কায় মসজিদুল হারামের অভ্যন্তরে অবস্থিত একটি কুয়া। ইসলামি বর্ণনা অনুযায়ী, হযরত ইবরাহিম (আ.) তার স্ত্রী হাজেরা ও শিশুপুত্র ইসমাইলকে মরুভূমিতে রেখে আসার পর ইসমাইলের পায়ের আঘাতে এর সৃষ্টি হয়। মসজিদুল হারামে আগত লোকেরা এখান থেকে পানি পান করেন এবং পরিবার আত্মীয় স্বজনের জন্য নিয়ে আসে।
অন্যান্য বছর হাজিদের জন্য বোতলজাত সেই পানি ফ্লাইটে দিয়ে দেওয়া হতো। এবার সেই পানি আগেই থেকে বহন করে বিমানবন্দরে নিয়ে এসেছে এয়ারলাইন্সগুলো। সে জন্য হজযাত্রীদের লাগেজে জমজমের পানি না আনার পরামর্শ দিয়েছে এয়ারলাইন্সগুলো।
তারা জানিয়েছে, হজযাত্রীদের সৌদি পৌঁছানোর সময় ফিরতি ফ্লাইট খালি থাকায় বিমানে জমজমের পানি নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হাজিদের জন্য জমজমের পানি মজুত রয়েছে। হাজিরা বাংলাদেশে আসলেই তাদের প্রত্যেককে পাঁচ লিটার করে জমজমের পানির একটি বক্স দিয়ে দেওয়া হবে।
এয়ারলাইনগুলো জানায়, সৌদি সরকার প্রত্যেক হাজির জন্য পাঁচ লিটারের জমজমের পানি নির্ধারণ করেছে। এর বেশি পানি আনার সুযোগ নেই। কোনো হাজি লাগেজে জমজমের পানি আনলে সেই লাগেজ সৌদিতেই থেকে যাবে। কিংবা সৌদি বিমানবন্দরে লাগেজ খুলে পানি ফেলে দেওয়ার পর তা বিমানে তুলতে দেবে। একইভাবে অনেক হাজি সৌদি থেকে উট, দুম্বার কাঁচা মাংস ফ্রোজেন করে আনার চেষ্টা করেন। এটিও নিষিদ্ধ।
এমএইচএফ