আওয়ামী লীগের প্রার্থী গাজীর কাছে বিপুল ভোটে হারলেন তৈমূর

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে আলোচিত প্রার্থী তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার পেয়েছেন মাত্র ৩ হাজার ১৯০ ভোট। তিনি শুরু থেকে শক্ত প্রার্থী হিসেবে নিজেকে দাবি করলেও বর্তমানে জামানত হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন।

এমন লজ্জাস্কর হারের পর তৈমূর আলম খন্দকার নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন। তবে তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দেননি।

এই আসনে চতুর্থবারের মতো জয় পেয়েছেন নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী। তিনি ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভূঁইয়া কেটলী প্রতীকে পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৭৫ ভোট।

রোববার (০৭ জানুয়ারি) রাত পৌনে এগারোটার দিকে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের ফলাফল কেন্দ্র থেকে নৌকার প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজীকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আহসান মাহমুদ রাসেল।

এর আগে নারায়ণগঞ্জ–১ আসনের নির্বাচনে সকাল আটটার দিকে ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এই নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আসনটিতে মোট ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৬১৬ ভোটার রয়েছেন। নির্বাচনে ১২৮ কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ১২ হাজার ৬২৪ জন ভোট প্রদান করেন। নির্বাচনে মোট ৫৫ দশমিক ১৪ শতাংশ ভোট পড়েছে।

এই আসনে ভোট গ্রহণ চলাকালে নৌকার প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে হিন্দু ভোটারদের বাধা ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ তোলেন। পাল্টা কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তোলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ তুললেও ভোট বর্জনের ঘোষণা দেননি স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহানও।

এর আগে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে পরাজিত হন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। পরে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ হারান তিনি।