স্বৈরাচার যেন ক্ষমতার এপিট-ওপিট। গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সুবিধাভোগী আওয়ামী ক্যাডাররা এখন ঘোল পাল্টে সুর ধরেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র।
এমনি এক নামধারী ক্যাডার চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার মতিঝর্ণা এলাকার আবদুল মুনাফের ছেলে জানে আলম বাচা(৪২)। আওয়ামী আমলে জানে আলম তৎকালীন কাউন্সিলর আবুল হাসনাত বেলালের অনুসারী ছিল। তবে সরকার পতনের পরক্ষনেই সেই আওয়ামী ক্যাডার জানে আলম বনে যান বিএনপির বড় নেতা।
লালখান বাজার মতিঝর্ণা এলাকায় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে করছেন নানা অপকর্ম। চাঁদাবাজি, নামে বেনামে ভূমি দখল, হত্যা চেষ্টা, মারধর সহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত এই জানে আলম। এছাড়াও চুরি-ডাকাতি, ছিনতাইসহ মাদক ব্যবসার একটি বড় কমিশন ঢুকে তার পকেটে।
সম্প্রতি মতিঝর্ণা এলাকায় ছুরিকাঘাতে হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান অভিযুক্ত এই জানে আলম। তার রয়েছে একটি নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী। তার এই বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ায় দির্দাসে। এলাকার একচ্ছত্র রাজা জানে আলমের সক্রিয় সন্ত্রাসীরা হলো- মতিঝর্ণা এলাকার লিটনের ছেলে জাহেদ (২৪) ওরফে ছিনতাইকারী জাহেদ, আবদুল মুনাফের ছেলে আরিফ(২৮) ওরফে ইয়াবা আরিফ, মাদক সম্রাট কামাল, মেহেদী হাসান, মুক্তার, বাদশা, পারভেজ, নাজিম উদ্দিন মিন্টু, ফারুক। এছাড়াও রয়েছে দুই নারী সক্রিয় সদস্য ইয়াছমিন (৩৫) ও ফরিদা (৪০)।
গত ২৬ অক্টোবর এই সন্ত্রাসী গ্রুপের হামলায় আহত হন মিজানুর রহমান নামে এক ব্যক্তি। ভুক্তোভোগী মিজানুর রহমানের বোন শিউলি বেগম বলেন, গত ১৯ অক্টোবর সাকিব নামে এক কিশোরকে তারা মারধর করে। প্রাণ বাচাতে সাকিব আমাদের বাসায় আশ্রয় নেয়।
তবে এই সন্ত্রসী বাহিনী তারপরও তাকে ছাড় দেয়নি। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে যখম করে। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ প্রতক্ষদর্শীর বক্তব্য নিলে আরিফ নামের এক সন্ত্রাসী আমাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয়। এছাড়াও ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে।
তিনি আরো বলেন, আমরা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে এই সন্ত্রসী বাহিনীর ২০ থেকে ৩০ জন সদস্য আমাদের বাসা, দোকান-পাট ও গ্যারেজে হামলা করে। এ সময় তারা গ্যারেজে থাকা দশটি অটোরিকশা ভাংচুর ও বাসায় থাকা আট ভরি স্বার্ণালংকার লুট করে।
আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি বলেও জানান তিনি।