রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে অস্ত্র মামলায় বিচারিক আদালতে দেয়া যাবজ্জীবন দ- থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। সাহেদের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র এডভোকেট এস এম শাহজাহান ও এডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক।
সিনিয়র এডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, উভয় পক্ষে শুনানি নিয়ে আদালত মোঃ সাহেদের আপিল মঞ্জুর করে খালাস দিয়ে রায় দিয়েছেন।
২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর এ মামলায় সাহেদকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেন ঢাকার বিশেষ আদালত। মামলায় সাহেদকে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯(ক) ধারায় যাবজ্জীবন ও (চ) ধারায় সাত বছরের কারাদ- দেয়া হয়। দুটি সাজা একত্রে চলবে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ওই অস্ত্র বাজেয়াপ্ত ও যে গাড়ি থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে, তার মালিকানা যাচাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন সাহেদ।
২০২০ সালের ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এরপর তাকে নিয়ে উত্তরায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পরে উত্তরা পশ্চিম থানায় র্যাব অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করে। একই বছরের ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায়ও অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম ধরা পড়ে। পরদিন ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা রয়েছে।