অরাজকতা সৃষ্টির বিরুদ্ধে মাঠে থাকতে হবে: ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ক্ষমতা গ্রহণের ১০ বছর পর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড ময়দানে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ও স্থানীয় ইস্যু সম্পর্কে মুক্ত কন্ঠে কথা বলবেন। তাই এই জনসভাকে সফল করে তোলার জন্য চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিটি স্তরের নেতাকর্মীদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামাত বিভাগীয় সমাবেশের মাধ্যমে সারা দেশে অরাজকতা সৃষ্টির যে পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তার বিরুদ্ধে আমাদেরকে মাঠে থাকতে হবে এবং এটাও মনে করি বর্তমানে কভিড-১৯ পরবর্তী সময় এবং রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে যে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও সংকট তৈরি হয়েছে তা মোকাবেলা করার জন্য প্রতিটি দেশপ্রেমিক নাগরিকের সমান দায়িত্ব রয়েছে।

বুধবার (৯ নভেম্বর) সকালে নগরীর ইন্টারন্যাশনাল হল (আইসিসি)তে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আগামী ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চট্টগ্রাম আগমণকে সফল করার লক্ষ্যে এক প্রস্তুতি ও নির্দেশনা সভায় তিনি একথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রত্যেককে দেশপ্রেমে প্রাণিত হয়ে রাজনীতি করতে হবে এবং সমাজকে ভালবাসতে হবে। এটাও সত্যি কথা যে, একটি অসৎ উদ্দেশ্যে দেশে অরাজকতা ও নাশকতার মাধ্যমে দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র অবশ্যই মোকাবেলা করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এম.পি. বলেছেন, চট্টগ্রামবাসী মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি। এই শক্তির প্রতি জাতির যে আস্থা ও ভরসা রয়েছে তা যেন ভুল প্রমাণিত না হয়। ষড়যন্ত্র এবং অপঘাত মোকাবেলায় চট্টগ্রামের মাটি বার বার প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করেছে। এখন প্রয়োজন মানুষের ভালবাসাকে অর্জন করে রাজপথে থেকে অপশক্তিকে প্রতিহত করা।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এম.পি. বলেছেন, চট্টগ্রাম বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার দুর্জয় ঘাটি। আমি চট্টগ্রাম বিভাগের প্রতিটি জেলায় ও উপজেলায় গিয়ে বুঝেছি আমাদের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা রাখা অতীব গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন। আমরা ব্যক্তির নামে স্লোগান নয়, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যাতে কোনো অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেদিকে সজাগ থাকতে হবে। ওই অপশক্তি আবার একটি ১৫ই আগস্টের ট্র্যাজেডি ঘটনার যে হুমকি দিচ্ছে তাদেরকে নির্মূল করতে পারি সেই মহা শক্তিকে জাগরিত করতে হবে।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীনের সঞ্চালনায় চট্টগ্রামে শেখ হাসিনার আগমণ এবং ৪ ডিসেম্বর পলোগ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত জনসভাকে সফল করার লক্ষ্যে এ প্রস্তুতি ও নির্দেশনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এম.পি, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এম. রেজাউল করিম চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।

আরও বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দীন আহমেদ এমপি, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম.এ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, এ.বি.এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি, নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি, মোস্তাফিজুর রহমান এমপি, মাহফুজুর রহমান মিতা এমপি, খাদিজাতুল আনোয়ার সনি এমপি, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল প্রমুখ।