‘অবৈধ ও অসাংবিধানিক’ সুবিধা চেয়েছিলেন ইমরান

আইএসআই প্রধানের অভিযোগ

পাকিস্তানের গুপ্তচর প্রধান লেফন্টেন্যান্ট জেনারেল নাদিম আনজুম অভিযোগ করেছেন, দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার সরকারের জন্য সামরিক বাহিনীর কাছে ‘অবৈধ ও অসাংবিধানিক’ সুবিধা চেয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বিরল এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইন্টার-সার্ভিস ইন্টিলিজেন্সের (আইএসআই) প্রধানরা সাধারণত একটু আড়ালেই থাকেন।  সংবাদ সম্মেলন তো দূর, জনসমক্ষেই তাদের খুব একটা দেখা যায় না।

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) রাজধানী ইসলামাবাদ অভিমুখে লংমার্চ ঘোষণা করেছে।  তার আগেই বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনী যেন ‘পারমাণবিক বিকল্প’ বেছে নিয়েছে।  পাকিস্তানের সিনিয়র সাংবাদিক ও টিভি উপস্থাপক আরশাদ শরীফ হত্যাকাণ্ডে সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে নানা অভিযোগ, ইঙ্গিত করা হচ্ছে।  এসব অভিযোগ, ইঙ্গিতের জবাব দিতেই যেন সেনাবাহিনী স্মার্টভাবে তাদের বড় ‘বন্দুকটি’ বের করেছে।

মিডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সাংবাদিক আরশাদ শরীফকে কেনিয়ার পুলিশ ভুল করে গুলি করে হত্যা করেছে।  সে দেশের পুলিশ এ নিয়ে স্বীকারোক্তিও দিয়েছে।  কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান একে ‘টার্গেটেড হত্যাকাণ্ড’ বলে অভিহিত করেছেন।  ইঙ্গিত করা হয়েছে, এই হত্যায় পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জড়িত।

নাদিম আনজুম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ইমরান খানের সমালোচনার কারণ হচ্ছে, সামরিক বাহিনী ও এর প্রধান অবৈধ এবং অসাংবিধানিক কাজ করতে রাজি হননি।’

তবে ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের এক নেতা আইএসআই প্রধানের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, সামরিক বাহিনীর কাছে কোনো ধরনের অবৈধ সুবিধা চাওয়া হয়নি।

সামরিক বাহিনীকে পাকিস্তানের সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান বিবেচনা করা হয়।  স্বাধীনতা লাভের পর দেশটি যে সাড়ে সাত দশক পার করেছে, তার তিন দশকেরও বেশি সময় তাদেরকে সামরিক শাসনেই থাকতে হয়েছে।  ২০১৮ সালে ইমরানকে ক্ষমতায় বসানোর ক্ষেত্রেও সামরিক বাহিনীর ভূমিকা ছিল বলে মত অনেক বিশ্লেষকের।  তবে শেষ পর্যন্ত তাতে ফাটল ধরে।