দুপুরে খাওয়ার পর থেকেই অনেকের ঘুম পেতে থাকে৷ বাড়িতে থাকলে নয় পাশবালিশ জড়িয়ে একঘুম দিতে পারেন৷ কিন্তু মুশকিল হয় অফিসে বা কাজের জায়গায়৷ দু’ চোখ বেয়ে ঘুম নেমে আসতে থাকে৷ তখন কাজের গতি কমে যায়৷ কাজে মন বসাতেও সমস্যা হয়৷ কী করবেন সমস্যা এড়াতে, জানুন৷
অনেকের ধারণা দুপুরে পেট ভরে ভাত খেলেই বোধহয় ঘুম পায়৷ সেটা কিন্তু সব সময় ঠিক নয়৷ নানা কারণে ঘুম পেতে পারে৷ আসল কথা হল, কী খাচ্ছেন তার উপর ঘুম আসবে কিনা নির্ভর করে না৷ বরং নির্ভর করে শরীরের অবস্থার উপর৷
ঘুম ঘুম ভাবের জন্য দায়ী হল অ্যাডিনোসাইন হরমোন৷ মস্তিষ্কের এই হরমোন সর্বোচ্চ হয় রাতে শুতে যাওয়ার আগে৷ সকালের তুলনায় বিকেলে এই হরমোন বেড়ে যায় শরীরে৷ তাছাড়া যাঁদের দেহে এই হরমোনের পরিমাণ বেশি তাঁদের ঘুম ঘুম ভাব অনেক বেশি হয়৷
হরমোনের পাশাপাশি আরও একটি জিনিসের জন্য আমাদের ঘুম পেতে থাকে৷ সেটা হল, সারকাডিয়ান রিদম৷ আমাদের বডি ক্লক বা শারীরবৃত্তীয় ঘড়িকে নিয়ন্ত্রণ করে এই ছন্দ৷ সেই ছন্দ বা শৃঙ্খল কোনওভাবে বিঘ্নিত হলে আমাদের কাজের সময় ঘুম পেতে থাকে৷
কিন্তু কাজের জায়গায় যদি ভাতঘুম আসে চোখে, তাহলে কী করবেন? অফিসে তো আর পাওয়ার ন্যাপ দিতে পারবেন না৷ তাই দুপুরে টিফিন করার পর এক চক্কর হেঁটে নিন৷ লাঞ্চের পরও একভাবে বসে কাজ করে গেলে কিন্তু ঘুম পেতেই থাকবে৷ তাই অ্যাক্টিভিটি বা সক্রিয়তা বাড়িয়ে নিন৷
শরীর জলশূন্য বা ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়লেও কিন্তু ক্লান্তি ভাবে ঘুম পেতে থাকে৷ তাই ঘুম ঘুম ভাব এসেছে মনে হলে জলপান করুন৷ এছাড়াও দিনভর প্রচুর জলপান করুন৷ শরীর ঝরঝরে লাগবে৷ ঘুমঘুম ভাব কেটে যাবে৷
বেশি খাওয়া হলেও ঘুম পেতে পারে৷ তাই খেয়াল রাখুন সেদিকেও৷ বেশি খেলে পরিপাক ক্রিয়া ধীর হয়ে যায়৷ তাই একবারে বেশি না খেয়ে বারে বারে অল্প পরিমাণ খাবার খান৷ বিশেষ করে এই নিয়ম মেনে চলুন কাজের জায়গায়৷ চেষ্টা করুন রোজ একই সময়ে দুপুরের খাবার খেতে৷