রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় পল্টন ও রমনা থানার পৃথক নয়টি মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার বিকেলে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিন এ আদেশ দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল জানান, দুপুরে এসব মামলায় তার জামিন আবেদনের শুনানি শেষ হলেও বিচারক তখন জানিয়েছিলেন, আদেশ পরে দেওয়া হবে। মামলাগুলোর মধ্যে ছয়টি পল্টন ও তিনটি রমনা থানায় দায়ের করা। মামলার আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পুলিশ কনস্টেবলকে হত্যা, রাস্তায় অবৈধ জমায়েত, যানবাহন ভাঙচুর, তাণ্ডব, পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই, সম্পদের ক্ষতি, পুলিশ সদস্যদের লাঞ্ছিত এবং দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পল্টন ও রমনা থানায় এসব মামলা করা হয়।রমনা থানায় গত ২৯ অক্টোবর দায়ের করা মামলায় ফখরুলকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা কারাগারে বন্দি। ২২ নভেম্বর ঢাকার একটি আদালত মামলায় তার জামিন নামঞ্জুর করে। ৭ ডিসেম্বর তৃতীয়বারের মতো তার জামিন আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। পরে ১৩ ডিসেম্বর ১০ মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদনের ওপর কোনো আদেশ দেয়নি ঢাকার একটি আদালত। এ সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে ৯ মামলায় ফখরুলের জামিন আবেদন গ্রহণ, শুনানি ও নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। ‘তবে, পল্টন ও রমনা থানার নাশকতার দুই মামলায় কারাগারে থাকায় এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না ফখরুল।