হাজার হাজার কিলোমিটার বাইক চালানোর পর যা করা জরুরি

দ্রুত সময় গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য মোটরসাইকেলের বিকল্প নেই।  তাই ব্যস্ত  বাহন হিসেবে দিন দিন বাড়ছে বাইকের ব্যবহার।  যাঁরা নিয়মিত বাইক চালান, তাঁদের কাছে বাইকের যত্ন নেওয়াটাও জরুরি।

বিশেষ করে ২৫-৩০ হাজার কিলোমিটার চলার পর বাইকের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে।  টু-হুইলারের সবচেয়ে বড় শত্রু খারাপ টায়ার।  বাইকারদের বড়সড় ক্ষতি করতে পারে খারাপ টায়ার।  তাই সব সময় বাইকের টায়ারের অবস্থার দিকে খেয়াল রাখুন।

২৫-৩০ হাজার কিলোমিটার চলার পর নতুন টায়ার লাগানো উচিত।  নতুন টায়ারের গ্রিপ ভালো হয়।  ফলে পিছলে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।  দুর্ঘটনা এড়াতে সময়মতো টায়ার বদলাতে হয়।

খারাপ টায়ারের কারণে হঠাৎ ব্রেক কষলে বাইক স্কিড করতে পারে।  মহাসড়কে এই ধরনের ঘটনা প্রাণঘাতী হতে পারে।  নিয়ম অনুযায়ী টায়ারের অবস্থা খারাপ হলে থ্রেড নষ্ট হয়।  ফলে টায়ারের রোড গ্রিপ কমে যায়।  বৃষ্টিভেজা রাস্তায় এই ধরনের টায়ার আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে।  বাইক পিছলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।  তাই সব সময় টায়ারের দিকে খেয়াল রাখতে হয়।

বাইক একবার কেনা মানেই যে দীর্ঘদিন নিশ্চিন্তে চালিয়ে যাবেন তা কিন্তু নয়।  বাইকের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ জরুরি।  আর নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণে বাইক যেমন নতুনের মতো ছন্দে থাকে তেমনি জ্বলানিও সাশ্রয় হয়।