স্বদেশে স্বজনের মাঝে নাবিকরা

দুই মাসের দীর্ঘ বাধা পেরিয়ে অবশেষে স্বদেশে স্বজনদের মাঝে ফিরেছেন জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সেই ২৩ নাবিক। মঙ্গলবার (১৪ মে) চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি টার্মিনালে পৌঁছে স্বজনদের বুকে নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে তাঁদের বহন করা লাইটারেজ জাহাজ এমভি জাহান মণি-৩ জেটিতে নোঙর করে। সেখানে তাদের লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে।

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। উপস্থিত হন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল ও সচিব ওমর ফারুক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, জাহাজাটির মালিক কেএসআরএম গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম বলেন, দীর্ঘ দুমাস মৃত্যুর সাথে মুখোমুখি হয়ে প্রতিটি মুহূর্ত যারা মনে করেছে এ মাত্র আমাদের জীবনপ্রদীপ শেষ হয়ে আসবে তাদেরকে আমরা ফিরে পেয়েছি। স্বাভাবিকভাবে আমরা চট্টগ্রামবাসী আজকে আনন্দিত। সন্তান ফিরে আসলে মা-বাবা যেমন অশ্রু ধরে রাখতে পারেনা তেমনি আমরা যারা সমবেত হয়েছি তারা আবেগ ধরে রাখতে পারেনি।’

এমভি আবদুল্লাহর চিফ অফিসার মো. আতিক উল্লাহ খান বলেন, ‘বিভৎস দিন থেকে আলোর দিনে ফিরেছি। দুঃসহ সেই স্মৃতির কথা আর মনে করতে চাই না। ট্রমা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি।

এর আগে বেলা ১২টার দিকে নতুন নাবিকদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর শেষে জাহাজটিতে করে তাঁরা বন্দর জেটির উদ্দেশে কুতুবদিয়া থেকে রওনা হন।

কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন ‘এমভি আবদুল্লাহ’ আগে ‘গোল্ডেন হক’ নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এরকম মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে।