চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. গিয়াস উদ্দিনের ঈগল প্রতিকের প্রচারণায় হামলার ঘটনায় বারইয়ারহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম খোকনকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের বিরুদ্ধে জোরারগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, মামলার পর মেয়র খোকনের বাড়িসহ সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় প্রশাসন। কিন্তু তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তার বিরুদ্ধে ঈগল সমর্থিত প্রার্থীর গনসংযোগে হামলাসহ বিভিন অপরাধে একাধিক ওয়ারেন্ট ও নিয়মিত মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অন্যান্য আসামিরা হলেন-রতন রাজ (৪৫), অশক সেন (৫৫), দাউদুল ইসলাম সোহাগ (৪০), আশরাফ উদ্দিন (২৮), নাঈম উদ্দিন (২৭), ইমাম হোসেন প্রকাশ সাহেদ (২৬), মো. শের শাহ (২৮), মো. কামরুল (২৭), জামশেদ আলম (৩৮) ও মোশাররফ হোসেন (৫২)।
জানা গেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের ঈগল প্রতিকের সমর্থনে গত ৩০ ডিসেম্বর বারইয়ারহাট পৌরসভায় গনসংযোগ করার সময় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ঈগল সমর্থিত কর্মী মো. মোহসিন ভূঁইয়া, বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হেদায়েত হোসেন, ইমামুল ইসলাম, সেলিম উদ্দিন সহ কয়েজন কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় ৩ জানুয়ারী নির্বচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ দেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. গিয়াস উদ্দিন। পরে ঈগল সমর্থিত গিয়াস উদ্দিনের কর্মী মো. মোহসিন ভূঁইয়া এ ঘটনায় ৫ জানুয়ারী (শুক্রবার) জোরারগঞ্জ থানায় মেয়র খোকনকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা (মামলা নং ৩) দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করছেন পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আবদুল হালিম।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার প্রয়াসে নির্বাচনে কমিশনের (ইসি) অঙ্গীকারকে তোয়াক্কা না করে নৌকার প্রার্থীর ঘনিষ্ট কর্মী বারইয়ারহাট পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও বহুমামলার সাজা প্রাপ্ত ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী রেজাউল করিম খোকন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আমাকে, আমার কর্মী ও সমর্থকদেরকে প্রতিনিয়ত হামলা করে যাচ্ছে। গত ৩০ ডিসেম্বর আমার গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরনের সময় সশস্ত্র হামলা চালায় খোকন । এতে আমার একাধিক কর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং আবার গণসংযোগ চালালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ অবস্থায় বারইয়ারহাট পৌরসভার সাধারণ জনগণ ও আমার কর্মীদের মধ্যে ভয়ভীতি কাজ করছে। অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নিবার্চন এর লক্ষ্যে নৌকার কর্মী খোকনসহ অভিযুক্তদের দ্রæত আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠ ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে আসছি।
এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, মেয়র রেজাউল করিম খোকনের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী গণসংযোগে হামলার অভিযোগে মামলার পর গ্রেফতারের জন্য বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু তিনি পালিয়ে যাওয়ায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে রয়েছে বলেও জানান তিনি।