ষোলশহরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের ফের পদচারণা

জুলাই মাসের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দ্বারা সরকার পতন হওয়ার পরে আবারো সরগরম হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহর এলাকা। সরকার পতন করা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা ফের রাস্তায় নেমেছে চাঁদাবাজি, সিন্ডিকেট, লুটপাট এবং হয়রানিসহ সব ধরনের অন্যায় রুখে দিতে।

৪ সেপ্টেম্বর (বুধবার) বেলা ১১টা থেকে চট্টগ্রামের ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশনে শিক্ষার্থীরা আবারও বিক্ষোভ শুরু করেন। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ষোলশহর স্টেশন চত্বরে পালন হয় এই বিক্ষোভ কর্মসূচি। এ সময় শিক্ষার্থীদের স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশন এলাকা।

‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ ও সহ সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফির নেতৃত্বে এই কর্মসূচি সংগঠিত হয়। এ সময় চাঁদাবাজি, সিন্ডিকেট, লুটপাট এবং হয়রানি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

কর্মসূতিতে বলা হয়, ‘হাজারো ছাত্রের রক্তের বিনিময়ে যে বাংলাদেশ আমরা অর্জন করেছি সেই বাংলাদেশে কোনো সিন্ডিকেট, কোনো চাঁদাবাজি, কোনো লুটপাট, কোনো ধরনের নৈরাজ্য চলতে পারে না। আবু সাঈদের রক্ত, মুগ্ধের রক্ত, ওয়াসিমের রক্তের উপর দিয়ে হেঁটে কেউ এই রাষ্ট্রকে দুর্বৃত্তায়নের দিকে নিয়ে যাবে সেটি হতে দিবো না।’

গত জুলাই মাসে সরকারি চাকরির নিয়োগে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ব্যানারে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও শুরুতে এই বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ থাকলেও সহিংসতা শুরু হয় ১৬ জুলাই থেকে। ওইদিনের সহিংসতায় নিহত হয় ওয়াসিম আকরামসহ মোট তিনজন। এরপর গত ১৮ জুলাই দুই জন, ২৩ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন, ২৫ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন, ৩ আগস্ট একজন ও ৪ আগস্ট বেসরকারি হাসপাতালে একজন এবং ৫ আগস্ট সরকার পতনের খবরে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতায় ৩ জনসহ মোট ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।