চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের বিচার ও জেলা লিগ্যাল এইডের বিচার না মেনে কারাগারে গেলেন শাহ আলম (৫০) নামে এক ব্যক্তি।
বুধবার (১৫ই মে) সাতকানিয়া থানা পুলিশ শাহআলমকে আদালতে প্রেরণ পূর্বক জেল হাজতে পাঠানো হয়।
গ্রেফতারকৃত শাহ আলম সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের হাঁসপাড় এলাকার মৃত তবারক মুন্সীর ছেলে।
বাদী সূত্রে জানা যায়, সাতকানিয়ার ছদাহার ২নং ওয়ার্ডের বকসুর বাপের বাড়ি এলাকার মৃত নাজির আলীর ছেলে মো:হামিদ আলী বিগত ২০১০ সালের একটি কবলার খরিদামূলে নিজ নামে খতিয়ান সৃজনপূর্বক ভোগ দখলে জীবন যাপন করে আসছেন কিন্তু একই এলাকার মৃত আবু ইসহাকের ছেলে আবুল হাসেম,আবুল কাশেম,ফরিদুল আলম,ও একই এলাকার জমি জমার ব্রোকারি করেন মো: শাহ আলম। মো:হামিদ আলী ও তার মেয়েকে বেদখল করলে, হামিদ আলী স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে বিচার দিলে প্রতিপক্ষরা তা না মেনে অবৈধ দখল ধরে রাখেন, পরে হামিদ আলী ছদাহা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থেকে শালিসি বৈঠকের সিদ্ধান্ত লিপিবদ্ধপূর্বক প্রত্যয়ন নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে আবেদন করেন।
চট্টগ্রাম জেলা লিগ্যাল এইড অফিস উভয় পক্ষকে ডেকে উভয় পক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক জেলা লিগ্যাল এইড অফিস থেকে যথাযথ ভাবে সার্ভেয়ার নিয়োগ করে পরিমাপ করা হয়।
পরে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার চট্টগ্রামকে সার্ভেয়ার পরিমাপের রিপোর্ট প্রদান করলে,সর্বশেষ নিষ্পত্তির জন্য জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার মো্ ইব্রাহিম খলিল উভয় পক্ষকে নোটিশ দিলে প্রতিপক্ষ শাহআলম গং বিনা তদ্বিরে গরহাজির থাকেন এবং জেলা লিগ্যাল এইড চট্টগ্রাম এর নিকট বিরোধ নিষ্পত্তি করতে প্রতিপক্ষ একমত নয় মর্মে প্রতীয়মান হওয়ায়, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার অভিযোগকারী বাদী হামিদ আলীকে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে অভিযোগটি চট্টগ্রাম জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে নথিজাত করার নির্দেশ দিলে বাদী হামিদ আলী শাহআলম গংদের বিরুদ্ধে মামলা করলে ওই মামলায় ৪নং আসামি হিসেবে শাহআলম সাতকানিয়া থানায় গ্রেফতার হন।
এদিকে গ্রেফতারের বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে এসআই আবু বক্কর বলেন, রাতে প্রতারণা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে সাতকানিয়া থানা এলাকা থেকে জমির দালালি কাজ করে শাহআলন নামে এক লোককে আমি গ্রেফতার করি।