গত বছরের শেষ দিকে রাজনীতিতে যোগ দিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার আম্বাতি রায়ডু। কিন্তু রাজনীতির ময়দানে পা রাখার ৮ দিন পরই তার গলায় এবার উল্টো সুর। রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন ভারতীয় এই ক্রিকেটার। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, সপ্তাহ কাটতেই কেন রাজনীতির মোহভঙ্গ হলো তার?
অবশ্য কারণটা জানালেন রায়ডু নিজেই। প্রথম পছন্দ অর্থাৎ ক্রিকেটকে বাড়তি সময় দিতেই আচমকা নিজের সিদ্ধান্ত বদল করেছেন বলে জানান তিনি। সম্প্রতি নিজের সোশাল অ্যাকাউন্টে তিনি লিখেছেন, ‘আগামী ২০ তারিখ থেকে দুবাইয়ে টি-টোয়েন্টি লিগ শুরু। সেখানে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের প্রতিনিধিত্ব করব। আর পেশাদার খেলা চালাতে গেলে রাজনীতিতে সময় দেওয়া সম্ভব হবে না।’
গত ২৮ ডিসেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশের শাসকদল ওয়াইএসআরসিপিতে নাম লেখান চেন্নাই সুপার কিংসের সাবেক এই তারকা। মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডিই দলীয় উত্তরীয় পরিয়ে তাকে স্বাগত জানান। যোগদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী নারায়ণ স্বামীও। কিন্তু শনিবার আম্বাতির গলায় শোনা যায় উল্টো সুর।
রায়ডু বলেন, আমি সবাইকে জানাচ্ছি যে আমি ওয়াইএসআরসিপি পার্টি ছেড়ে দিয়েছি এবং কিছু সময়ের জন্য রাজনীতি থেকে সরে গেলাম। সময় হলে আমার পরবর্তী পদক্ষেপ আমি জানিয়ে দেব।’ কয়েকদিনের মধ্যে রাজনীতি থেকে রায়ডুর ইউটার্নে চমকে গিয়েছেন সবাই।
এর আগে ২০২৩ সালে চেন্নাইয়ের হয়ে আইপিএল শিরোপা জেতার পর ট্রফি নিয়ে জগনমোহন রেড্ডির সঙ্গে দেখা করতে যান রায়ডু। তখনই বোঝা যাচ্ছিল তিনি রাজনীতিতে যোগ দিতে পারেন। এরপর জানিয়েছিলেন জগনমোহন রেড্ডিই তার অনুপ্রেরণা। জগন যেভাবে তরুণদের জন্য কাজ করছেন তাতে তিনি মুগ্ধ বলে জানান। এরপরই তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন। তার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পর মনে করা হয়েছিল তিনি লোকসভা নির্বাচনে লড়তে পারেন। শেষমেশ সরে যাওয়াতে সেই জল্পনায় ভাটা পড়ল।