মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার এই সংস্কৃতিটা থাকা উচিত বলে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্তজা। তিনি বলেন, অবশ্যই ওই সংস্কৃতিতে যাওয়া উচিত, ওই সংস্কৃতির সেট আপ করা দরকার। যারা আছে এখন, সাকিব, মুশফিক, রিয়াদ, তামিম, কেউ স্বীকার করুক বা না করুক; তারা বাংলাদেশের কিংবদন্তি। এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নাই। তাদের ক্ষেত্রে যেন ওই সুযোগ তারা পায়। তারা যেন ওই সম্মানটা নিয়ে মাঠ থেকে বিদায় নিতে পারে।
নবম বিপিএল এখন সিলেটে। ঢাকার দুই পর্ব এবং চট্টগ্রাম পর্ব শেষে শুক্রবার থেকে সিলেটে শুরু হবে বিপিএল। প্রথম ম্যাচেই রংপুর রাইডার্সের মুখোমুখি হবে মাশরাফির স্বাগতিক সিলেট।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি এলে, মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন।
মাশরাফি বলেন, সত্যি বলতে এটা হওয়া উচিত (মাঠ থেকে বিদায়ের সুযোগ)। আমি মনে করি প্রতিটা খেলোয়াড়…বিশেষ করে সাকিবসহ এখন যারা আছে। আমি নিজেরটা বলতে পারব না কারণ অনেকদিন আগেই ছেড়ে এসেছি (ক্রিকেট)। আমার কোনো প্রত্যাশা নেই। আমি নিজেও বিশ্বাস করি না নিজেদের ক্ষেত্রে।
সাবেক এ অধিনায়ক বলেন, কোনো প্রত্যাশা নিয়ে আসিনি, যেতেও চাইনি। তিন বছর আগেও এই প্রত্যাশা নিয়ে এখান থেকে যাইনি যে আমাকে ক্রিকেট বোর্ড থেকে বা কোনো জায়গা থেকে কী দেবে। আগেও বললাম আমার হ্যাপিনেস আমার কাছে, হ্যাপিনেস কারো কাছে বিক্রিও করতে আসিনি, কিনতেও আসিনি। আমার যেটা মন চেয়েছে, যেটা মনে করে ঘরে গিয়ে শান্তিতে ঘুমাতে পারবো, সেটাই করেছি ক্রিকেটের ক্ষেত্রে। এজন্য আমি কারো কাছে কিছু আশা করি না। সত্যি বললাম, হাজারবার বললে হাজারবারই বলবো আমি কিছুই আশা করি না।’
মাশরাফি বলেন, দীর্ঘদিন, দীর্ঘসময় তারা শ্রম দিয়েছে। অনেক কিছু ত্যাগ করেই সময় দিয়েছে তারা ক্রিকেটে। মানুষ তো হিসাব করে কত টাকা পেল। কিন্তু তারা যে শ্রম দিয়েছে, দিনের পর দিন ত্যাগ করেছে, এটা কেউ জানে না। ওই সম্মানটা যেন তারা পায়। যারা মধ্য বয়সে আছে, তরুণ আছে, তারা যেন বিশ্বাসটা আসে, আমাদের দেশ থেকে এতটুকু সম্মান নিয়ে যেতে পারবো।’